তুমিহীনা
রাসেল নির্জন
Monday, March 24, 2014
তুমিহীনা আমি নিষ্প্রদীপ, নিরাকার।
তোমার অস্তিত্বে খুঁজে পাই নিজের অস্তিত্ব।
তোমার না ফেরা প্রতিটি দিন
চরম বিস্বাদ আর বিতৃষ্ণায় কাটে।
প্রতিটা না ফেরা বিকেল
উলটপালট করে যায় আমার মনে!
শেষ নিশীথ বেলার শীতল বাতাসে
বড্ড হাঁটতে ইচ্ছে করে;
তোমার নরম হাতটি
আমার হাতে চেপে ধরে!
নাম না জানা রাতের পাখিটা
ডাকে বসে কোন সে ডালে,
হয়তো তার সঙ্গীটি কে কাছে পেতে
শীসের পর শীস দিয়ে চলে!
আমি হেথা একা একা
প্রকৃতির রূপে দেখি তোমার রূপ,
মনে মনে তোমায় খুঁজে
তাতে পাই যে একটু গভীর সুখ!
পুকুরে গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে
সূর্যরশ্মি একটু যেথায় পড়ে,
কি জানি কিসের তরে
মাছেরা সব সেথায় ভিড় করে!
আমি হেথা বসে একা
পুকুরের পাড়ে গাছের গুড়ে,
ছোট ছোট ঢেউ মৃদু আলোতে;
খেলছে কেমন আলো-ছায়ার বিচিত্র খেলা;
চিক চিকে ঝকঝকে মনে দেয় দোলা!
পাশের বাগানের বিচিত্র সব ফুলগুলো
গন্ধে করে আকুল,
বাতাসে বাতাসে অণুতে অণুতে
মিশে গিয়ে ফাগুন আজ হয়েছে যেন ব্যাকুল!
কত যে ফাগুন কত যে রাত গেল কেটে;
সময় সময় কে করে নষ্ট কষ্ট বুকে চেপে!
উঠো উঠো দেখ দেখ
ভোরের পাখিরাও উঠেছে জেগে;
গাইতেছে গান আবেগে আবেগে,
নতুন ভোর পেয়ে গৌরবে গৌরবে!
কত নতুন নতুন ফুল ফুটেছে শাখে;
নতুন সূর্যালোক ছুঁয়ে দিবে তোমাকে
চোখে চোখ রেখে!