তনুশ্রী...


জানি এখনো তুমি অনেক রাত অবধি করিডরে দাড়িয়ে থাকো।
সত্যি করে বলতো দেখি..
এখনো কি তুমি আমাকে ভেবে বিনিদ্র রজনী জাগো?
তোমার মস্তিস্কে, তোমার অস্থিমজ্জায় কি এখনো আমায় ধারণ করো?


ওগো তনুশ্রী...


মনে পড়ে একদিন স্কুল শেষে বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে বাড়ি ফেরার কথা।
সদ্য কিশোরী বালিকা তুমি, তোমার চোখে মুখে রঙিন স্বপ্ন,
তোমার দুষ্টু হাসি, মায়াবি দৃষ্টি, চোখের ভাষায় না বলা গল্প।
কাঁদা মাখা পথে আমার শার্ট খোলা ভেজা বুকের এক পাশে তোমার মাথা,
তোমার চাহনি আর আড়ষ্ট কণ্ঠে বুঝিয়ে দিলে মনের না বলা কথা।


তারপর...


প্রতিদিন সকালে স্কুলে আসার পথে রাস্তার ধারে দাড়িয়ে থাকতে তুমি,
আর ক্লাস শেষে ওই কড়ই গাছটির নিচে ঠাই দাড়িয়ে রইতাম আমি।
এরই মাঝে কবে যে আমি-তুমি আমরা হয়ে গেলাম,
মনের অজান্তে সদ্য কিশোর-কিশোরীর স্বপ্নগুলো এক করে নিলাম।
পাগলী আমার.!
বড় আবেগী আর অভিমানী ছিলে তুমি; অল্পতেই হাসতে আর অল্পতেই ফেটে পড়তে ক্রন্দনে,
আমার শার্টের দু-পাশ জোরে চেপে ধরে বলতে; আজীবন নিজেকে আবদ্ধ রাখবে এ বাহু বন্ধনে।


এরমাঝে...


হঠাৎ একদিন আমাদের স্কুল পরিবর্তন, হারিয়ে যায় আমাদের চেনা পথ,
অসহায় নিস্পলক চাহনির মাঝে হারিয়ে যেতে থাকে স্বপ্নের গতিপথ।
সেই যে দূরে, ধীরে ধীরে অনেক দূরে,
হারিয়ে যেতে থাকে কথামালা দূর হতে বহুদূরে..।
ফিকে হতে থাকে রক্তিম চোখের বর্ণমালা,
সজিব অরণ্যে বড় অসময়ে পাতা-ঝরা হয়ে যায় সব ডালপালা....।