ও পথ চেনে না, পথেই মরে  শব্দ বিহীন কান্নাতে
ভাঙার মতন ভাঙছে সে রোজ রক্তমাখা রাস্তাতে।
ক্ষুধার্ত কী  পদার্থ নেই, সে-ই সকলের ভার টানে
কথার উপর তোপ জড়ানো, অশ্রুনিধি জলপানে ।।

পাথরও তার  বুকের উপর, নালিশ করা অর্থহীন
শালিস বসে রোজ ভিতরে, হিসেব কষা দীর্ঘদিন
আঘাত পেলে  দস্যু বেশে, জন্ম জানে  আরণ্যক
শ্যাওলা ধরা  জলদ ছুঁয়ে, ধূসর জীবন  অনর্থক ।।

ও পথ চেনে না, পথেই মরে, সঙ্গতিহীন  দূর পথে
ঝড়বাদলে রোজ ভেসেযায়, জীবন ভরা লক্ষ্যতে
নীরব জানি কথার মাঝে, নজর কাড়ে ফুল পাখি
দুই দশকের  চার বছরের, বৃথাই যুগে  দেয় ফাঁকি..!

আলগা বাতাস  জাপ্টে ধরে, অসম্ভবের হঠকারী
স্বল্প দামে জীবন বিকোয়, সেই নরাধম অবিচারী।
মৃত্যু আসে  অতর্কিতে, মর্যাদা বোধ.. অগ্নি ছায়ে
উঠবে কবে অটলশ্বাসে, কে জানে বা কী উপায়ে..!

ও পথ চেনে না, পথেই মরে, বন্দী বশে ঝলকানি
আকুতি হয় ভিতর ভিতর, অস্থিরতায়  দিন খানি
মনেই পড়ে  মুহুর্ত কে, সে দিনেতেও  চোখ জ্বলে
জীবন পথের, পথেই জীবন, অচেনা পথ সম্বলে ।।