সেই যে সেদিন দেখেছিনু কদম-তলার ধারে,
যেথায় মোদের বিদ্যাধরী বেঁকছে বারে বারে,
তুমি ছিলে আপন মনে নদীর পানে চেয়ে,
বারে বারে লুকিয়ে তোমায় দেখেছিনু চেয়ে।
কনক চাঁপা চোখটি তোমার কাজল দিয়ে আঁকা,
চেষ্টা করেও পারিনি তো করতে তোমায় দেখা,
দেখলে চেয়ে খনিক হেঁসে, লাগলো ভালো মনে,
আশা ছিলো, আসবে চলি আমার গৃহকোণে।
কেমন আছো,কোথায় আছো, সীমন্তিনীর বেশে?
দেখে যেয়ো কেমন আছি, এলে তোমার দেশে।
ইচ্ছা ছিলো অনেক খানি,থাকলো মনে লেখা,
বাসন্তিকা শাড়ীর মাঝে তোমায় পাবো দেখা।
বর্ষা দিনে বাদল মাঝে বেড়াই ঘুরে একা,
আমার চোখের অশ্রু বারি না যায় যেন দেখা।
কান্না আমার বক্ষ মাঝে ঝরুক পড়ি সদা,
পরের জীবন তোমার সাথে হউক আমার বাঁধা।
দুঃখ আমার চিরসাথি, ব্যথার কোমল-ব্যথা ,
পর জনমে তোমায় তরে রইলো এখন গাঁথা।
মরম জ্বালা জলুক সদা; বলবো আমি যাকে
পরের জনম দেখবো খুঁজে কদম তলার বাঁকে।


লেখক-নিশিকান্ত দাস
তাং-০৪-০৮-২০১৭