সীমা হীন দৃষ্টিমাঝে,একি তব রূপ ভাষিতেছে বার বার।
“লহ বারি যতলাগে, যত তুমি চাও,নাহি কিছু মোর হারাবার”।
যেন বলিছো কথাগুলি, ফেনিল তরঙ্গ মাঝে শত বার করি,
সসীমের মাঝে অসীম তটে আসি, বলিতেছে তাহা দম্ভ করি,
আছাড়ি ফেলিছ তটে বারি আছে যত,যাদের আনিছ টানি
তট রেখা ধারে, তাদের আছাড়িছ যেন রোষানল হানি।
বড়িতেছে তট রেখা যুগ যুগ ধরি,যদি তুমি চাও তাহা,
কোথাও বা তব ক্ষমা পড়িতেছে ঝরি মনে আছে  যাহা,
গুটাইতেছো বিস্তারের ক্ষুধা, যেন ঝরিতেছে সবলের স্নেহ ;
কোথাও বা উঠিতেছে দ্বীপ মালা জাগি, যেন সবুজের গেহ।
যেন ডাকিতেছ হাতছানি দিয়া, বলিতেছ, “এসো হেথা চলি,
সকলি আছে হেথা ,কল্লোলিত ধ্বনির মাঝে বাতাসের হোলি,
থাকো হেথা সুখে, মানুষের কোলাহল ও মিথ্যা অহংকার ছাড়ি”।
দ্বীপের নারিকেল বীথী চামর দোলায় যেন জলধির গায়,
যেন তোষামোদ করে, বাঁচাতে নিজেকে ,ধরি সিন্ধুর পায়।
যুগে যুগে কত দ্বীপ উঠিয়াছে জাগি,কত দ্বীপ হয়েছে বিলীন
জলধির মাঝে,খেলার ছলে পয়োনিধি তারে করিয়াছে লীন।
শান্ত,নিস্তব্ধ মেরু হতে আনিতেছ রাশি রাশি হিমশৈল যত,
অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ি হিমশৈল মিলিতেছে জলে, শির করি নত।
রত্নাকর নাম তব জানে সর্বজনে, রত্নের খোঁজে ডুবুরি তথায়
ডুবিতেছে বার বার করি, আহৃতে রত্নরাজি ,আনিতে ধরায়।


সৃষ্টির শুভ খনে নিয়েছিলে ভার,দেখেছিনু মৎস্য অবতার,
সর্বদা তুমি ছিলে,বিবর্তনের ধ্বাজা ধরি মানব সভ্যতার।
সকল ভয়ঙ্করকে করিয়াছ বস, হয়ে তুমি নিজে ভয়ঙ্কর ,
দিয়েছো স্থান তব বক্ষোপরি,করি নত মস্তক সবার ।
তট ছাড়ি, যত যাই গহীনের খোঁজে ,আঁখি পাতে আসে ঘুম,  
চঞ্চলতার ছবি লুপ্ত ; নিদাঘ দুপুর মত শব্দ হীন নিস্তব্ধ নিঝুম।
মনে হয় কর্মের সমাপ্তিতে জলধি শ্রান্ত হেথা, ক্লান্তি মুছিতে
যেন সে ধ্যনমগ্ন তথা,যোগারূঢ় হয়ে আছে, বসি পর্ণকুটীতে ;
ভয়ঙ্করের লেষ মাত্র নাই, তট সম নেই সেথা দম্ভের প্রকাশ,
যেন রত্নের খনিতে থাকি, বরাভয় বাণী করিছে বিকাশ।


লেখক-নিশিকান্ত দাস
তাং-০২-১০-২০১৭