বিধাতার লেখা কপাল-লিখন খণ্ডাতে পারে কেউ!
ভাগ্যাহত মানুষের দুই চোখে বহে হতাশার ঢেউ।  


নিরাশ অন্তরে দুর্ভাগ্য মেনে ছেড়ে দিয়ে সব হাল
দরিদ্র লোকেরা দরিদ্রই থেকে ভুগে যায় চিরকাল।  


রোগে, শোকে ভুগে জীর্ণ দেহেতে শীর্ণ বসনখানি
নিত্য যে করে গরীবের ঘরের নির্ঘাত সম্মানহানি।  


ভাগ্যাহত লোক ভাগ্যকে দুষে থাকলে বসে বসে
তার জীবনে কি সৌভাগ্য ফেরে যাদুর দীপ ঘষে?  


ভাগ্য ফেরাতে দুর্ভাগ্যের মুখে আঘাত করবে শ্রম,
আত্মবিশ্বাসে ফেরাও ভাগ্য, দুর্ভাগ্যের চিন্তাই ভ্রম।


যে সৃষ্টি সেরা এ মহাবিশ্বে তা দরিদ্র কেনো রবে?
কপালের লেখা পড়তে শুধু আসে না কেউ ভবে।  


নিজকে যে পাল্টাতে জানে দারিদ্রকে ভয় পায় না,
সমূলে দারিদ্র উৎখাত না করে ঘরে ফিরে যায় না।  


সৃষ্টির সেরা মানব দেহে দারিদ্র কভু হয় আভরণ?  
সে ব্যক্তি হীনপুরুষ যে সাদরে করে দারিদ্র বরণ।  


সাহসী ব্যক্তির পৌরুষ হলো দারিদ্রকে জয় করা;  
পরিশ্রমী সে ব্যক্তির পৃথিবীটা সৌভাগ্যে রয় ভরা।