ইচ্ছে আশার পোষক মানুষ যে কোন ভাবে ঐশ্বর্য চায়;
ভাগ্য ফেরে কারো ঐশ্বর্য মেলে, কেউ থাকে নিরুপায়।


ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচুর যতোই ফারাক থাক,
সকলেরই আশা জীবনটা শুধু বৈভব-ঐশ্বর্যে ভরে যাক।


মানুষের এই একমাত্র স্বপ্ন যা সবারেই বুঝি এক করে,
প্রতিটি মানুষ সর্ব অবস্থায় এ স্বপনই দেখে জনম ভরে।  

কয়জন ভেবে দেখেছে কবে তাঁদের স্বপন পূরণের কর্ম
এনেছে হয় তো ঐশ্বর্য, যার পদপ্রান্থে পাপ ও পুণ্য ধর্ম?


ঐশ্বর্য যেমন সভ্যতা আনে, তেমনই সে ঘটায় অনাচার;
প্রেমের সাথে প্রবঞ্চনাও আনে, ছড়ায় বহুবিধ পাপাচার।

ঐশ্বর্য হলো এমন বস্তু যার জাত-বেজাতের বিচার নাই;
সৎ কিম্বা অসৎ পথ হোক, সকল পথেই যে তাকে পাই।

শাঠ্য ও সভ্যতা, করুণা ও বর্বরতা, উঁচু-নীচু যতো পণ,  
ন্যায় মাৎসর্য মানবতা- সবকিছুকে ঐশ্বর্য করে আলিঙ্গন।
  
ঐশ্বর্যের রূপ সুখ, আনন্দ, বিলাসিতার সকল কিছুতেই;
ঐশ্বর্যই যেমন কীর্তির প্রতীক, অধঃপতনের চিহ্নও সেই।