মানুষরূপে ঘুরছে কতো খেঁকশেয়ালের দল;
শুঁয়ার, কুকুর? তারাও ভালো, মানে যে শৃঙ্খল।
এরা তো আর মানছেনা যে কোনো রীতিনীতি,
বেপরোয়া, ভয় করে না, তারাই এখন ভীতি।  
কতো পুরুষ ঘুরছে নিয়ে কাম-কামনা, বিকার,
পথে ঘাটে পাচ্ছে যেথায় করছে নারী শিকার।
এদের কাছে হার মেনে যায় সব জানোয়ার, পশু;
সুযোগ পেলেই ধরছে নারী, দিচ্ছে না বাদ শিশু।
ভাইকে বেঁধে বোনকে ধরে, বাবার সামনে মেয়ে,  
কতো পুরুষ সামনে থেকেও দেখে চেয়ে চেয়ে।    
ভাবছে, ‘নারী? সেতো পুতুল, করবো নিয়ে খেলা,
আইন-কানুনে করবেটা কী? সে দেখেছি মেলা।’
পুরুষ যদি লাগাম ছেড়ে রুপ নিয়ে নেয় বন্য?
তাই বলে কি নারী জাতি হবে ভোগের পণ্য?
অনেক হলো, জাগো নারী, দাঁড়াও এবার রুখে,
নোংরা পুরুষ এলে কাছে, চড় কষে দাও মুখে।
নারী হলেও অবলা নও, শক্তি গায়ে আছে,
তবে কেনো মানব-পশু ঘেঁষবে তোমার কাছে?  
দেখে নারীর শরীরখানা দেয় যদি সে গুতো,
পেটের উপর মারবে ঘুষি, মারবে গালে জুতো।
পথে ঘাটে হাত দিলে গায়, দিলে কাতুকুতু,
হাত দুখানা কাজে লাগাও, মুখেতে দাও থুথু।  
আর কতোকাল নারী বলে যাবে সহ্য করে?
বীর লোকেরা যুদ্ধ করে একবারই তো মরে।  
মজা দেখে পুরুষ যখন যাচ্ছে যে যার ঘর,
সেই পুরুষে কতোটা কাল করবে তুমি ভর?
রক্ষা তোমায় করবে তুমি, তুমিই পারো সেটা,
সাহস নিয়ে রুখে দাঁড়াও, দেখুক পুরুষ ব্যাটা।  
দাও দেখিয়ে, ঢের হয়েছে, জাগছে এবার নারী,
ভয় করে না পাশব-পুরুষ, যায় না হেরে বাড়ি।
নারীও পারে দেখিয়ে দিতে সাহস কতো তাদের,
এবার পাল্টা আঘাত দেবে পাচ্ছে আঘাত যাদের।
যায় যদি যাক জীবনখানা তাও করোনা ভয়,  
নিজেই এবার রুখে দাঁড়াও, জয় পাবে নিশ্চয়।