হে প্রেয়সী, হে শ্রেয়সী, হে বীণাবাদিনী,
বেরিয়ে এসো, হে মায়াবিনী,
রূপের রাণী, পরদ্বীপবাসিনী,
সঙ্কীর্ণ, বদ্ধ, চার দেয়ালের কুঠুরি থেকে বেরিয়ে এসো।
স্বার্থসম্পৃক্ত সাংসারিক গুহা থেকে প্রেমালোকে এসো।
সমাজসংস্কার রীতিনীতির বাঁধা ভেঙ্গে চুরমার করো,
দীর্ণ বিদীর্ণ করে ফেলো শাসন, নিয়ন্ত্রণের সকল বেড়ি,
পদদলিত করো, হে প্রেমময়ী, তোমার পথের সকল জঞ্জাল,
ফেলে এসো কালে কালে জমাটবাধা সমস্ত অন্ধকার।
বাইরের জগতে এসো, মুক্তির ভুবনে এসো,
প্রণয়ের হেন জগতে দিকে দিকে অনন্ত প্রসারিত আলো,
দু’হাত ধরে সে আলো তব অন্তরের গহীনে জ্বালো,
সে আলোকতরঙ্গে অবগাহন করো, অভিস্নাত হও।
এ প্রণয়ের তরে জন্ম তোমার, তুমি অন্য কারও নও।
অবাধ আলোয় কণ্ঠ তুলে ধরো,
মুক্ত জগতের প্রশস্তি গীতি করো।
অখণ্ড অন্তরের অনন্ত ব্যাকুলতা নিয়ে কামনা করো
অসীম সুখের অনাগত মুহূর্তগুলিকে।
বদ্ধ থেকে থেকে অন্তরের ভিতর শুধু জমেছে আঁধার,
সে আঁধার থেকে নিজেকে মুক্ত করো।
এখানে বিহঙ্গের সুরে গেয়ো গান,
মিলিয়ে নিও তোমার গানে তটিনীর কলতান,
এখানে চঞ্চল নৃত্যে তুমি প্রাণ খুলে হেসো,
তবে বদ্ধ সে দুয়ার খুলে এখুনি বেরিয়ে এসো।