এমন তো হয় কখনও
তুমি চলছো গন্তব্যে তোমার
পথ আটকিয়ে হঠাৎ দাঁড়ালো কেউ,  
হাতে ছড়ি, অন্ধ দুচোখে,
হাউমাউ করে কেঁদে বসে
বাড়ালো দুহাত,  
তুমি ভাবো, কেনো হয়
চলার পথে এমন উৎপাত?
কোনও এক সময়ে এসে
বোবা-কালা কেউ,
সামনে দাঁড়ালো, চোখে কান্নার ঢেউ,
হঠাৎ বাড়িয়ে দিলো তার দুটি হাত,
তুমি কিছু দিলে জোটে মুখে ভাত,  
তুমি হলে অগ্নিশর্মা, হাতে হাত ঘষে
ভিখারীর একগালে চর দিলে কষে।
অভুক্ত মানুষটা চোখ দুটি বুঝে,
তোমার পথ ছেড়ে অন্য পথ খুঁজে।  
ফুটপাতে পড়ে থাকা
প্রায় পঙ্গু, শরীর বাঁকা
মানুষকে দেখে এড়িয়ে যাও সদা?  
প্রতিবন্দি মানুষটাকে ভাবো অভিশাপ,
কাছে আসলে শোনাও কটু কথা সর্বদা?
দেখো যদি এমন কাউকে
খুঁড়িয়ে হাঁটছে সে নিয়ে অবশ অঙ্গ,
তাকে দেখে তুমি ভাবো,
কেনো এই অপয়া
তোমার যাত্রাটাই তবে করলো ভঙ্গ?  
কাছে আসলেই তাকে ‘দূর, দূর!’ করে
তুমি হয়তো তাড়িয়েই দাও?
খুঁড়িয়ে হাঁটা মানুষটাকে
ভোগায় জীবন ঘূর্ণিপাকে,
তার জীবনের কষ্টকে তুমি বুঝতে কি পাও?
বিপদগ্রস্থ মা-বোনেদের কান্না
গগন বিদীর্ণ করা চিৎকার,
শুনতে পাও না কানে?
তবে তুমি কিভাবে বুঝবে  
প্রতিবন্ধী মানুষগুলোর অসহায় জীবনের মানে?
দুচোখে শুধু তাদের প্রতিবন্ধকতাকেই দেখতে পাও,
মানুষগুলোর আকুতি, মিনতি দেখতে পাও না,
দেখতে পাওনা প্রতিবন্ধী মানুষগুলোর অসহায় মন।
পঙ্গুত্ব, অন্ধত্ব কিম্বা কোন অক্ষমতা
তাদের জীবনে নয় বড় প্রতিবন্ধকতা,
তাদের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা হলো
তাদের প্রতি তোমার এ হীন মনমানসিকতা।
ভাগ্য তাদের পরিহাস করেছে,
তবুও তাড়া করছে লড়াই বাঁচতে,
প্রতিবন্ধকতার সাথে করতে হয়েছে সন্ধি,
আর তুমি ধিক্কার দাও তাদের?
তারাই তবে মানুষ, আর তুমিই প্রকৃত প্রতিবন্ধী।