কে এসে দাঁড়ালো ওই কাঁচের আয়নার সামনে?
এক আলোকোজ্জ্বল প্রতিমূর্তি
ক্রমে ক্রমে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছে সে,
কোন সে ইন্দ্রপুরী থেকে আগত এক ঐন্দ্রজালিক মূর্তি
সহসা প্রতিফলিত হয়ে উঠলো এক কাঁচের আয়নার মধ্যে?
হে প্রেম, তোমার দ্রুতগামী পাখা দুটি আমাকে দাও
শুধু একটি বারের জন্য,
সে পাখা আমাকে নিয়ে যাক ওর অনিন্দ্যসুন্দর রূপের মায়াময় জগতে।
আমি এখান থেকে ওখানে যাই ওর কথা ভাবতে ভাবতে,
যেখানেই যাই যেদিকেই তাকাই
সেখানেই একরাশ আলতো কুয়াশায়
আবির্ভূত হয় তার অতুলনীয় রূপমাধুর্য,
অত্যুজ্জ্বল রূপযৌবনসম্পন্ন মোহপ্রসারী এক নারী।
ঝলকে উঠে সে রূপ কাঁচের আয়নায়,
কে এই নারী? এ জগতে কী তাঁকে পাওয়া যায়?
মর্তের মানবী স্বর্গীয় দ্যুতি আর সুষমার উজ্জ্বলতম মূর্তিমতী প্রতিক এক।
কামনাকাতর এ মন তাঁকে বাস্তবে চায়।
সারা মর্তভূমিতে এতো সুন্দরী নারী আর পাবো কোথায়?
আমার দুচোখ খুঁজে ফেরে তাঁকে,
এখনও অতৃপ্ত চোখদুটি সেদিকেই চেয়ে থাকে।
আর কোনও কিছু ভাবার সময় আমার নাই,
অনিন্দ্যসুন্দরী প্রেমাস্পদকে সর্বত্র খুঁজতে চাই।
তাঁর মতো ভাগ্যবান আর কেইবা হতে পারে
যে তাঁর সুন্দরী প্রিয়তমাকে বন্ধু হিসেবে নিয়ে যায় ঘরে।
আমি হতে চাই সেই ভাগ্যবান পুরুষের মতো,
তাকিয়ে থাকতে চাই সেই আয়নার দিকে অবিরাম নয়নে, অবিরত।  
সেই অত্যুজ্জ্বল রূপের স্মৃতি বুকের মধ্যে জ্বালাচ্ছে অদম্য আগুণ,
কী সুন্দর ওই নারীর রূপ! স্বর্গের বহুগুণ!
চোখের পলকে সে কোথায় হয়েছে উধাও?
যে আয়নায় তাঁর প্রতিফলন পড়েছে সেই আয়না আমায় একবার দেখতে দাও।