হে রূপসী,
হে সর্বাঙ্গসুন্দরী নারী,
যে অতুলনীয় সৌন্দর্যরূপপসম্পদ তোমার
তার কাছে আমি করেছি নতজানু আত্মসমর্পণ।
প্রদীপ্ত সূর্যালোকে উদ্দীপিত তব রূপ
আমি অপলক নয়নে করি অবলোকন।


আমার অস্থির অন্তরে প্রজ্জ্বলিত হলো অগ্নিশিখা,
প্রসারিত হলো জ্বলন্ত কামনার অদম্য ব্যাকুলতা।
হে অনন্ত সমুদ্রের আলোক-পরিবৃত অগণ্য তরঙ্গমালা,
হে অনন্ত জলরাশি, তোমরা শান্ত হয়ে যাও,
এ অন্তরে কামনার অগ্নিগিরি তাকে জ্বলতে দাও।
হে ক্ষিতি, অপঃ, মরুৎ, তেজ, সড়ে যাও দূরে,
মুক্তপক্ষ বিহঙ্গ এ মন আজ প্রেমানন্দে উড়ে।
হে সুন্দরী, তোমার অপ্রাকৃত সৌন্দর্যের উন্মাদনায় আমি গেছি অন্ধ হয়ে,
আমার দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা, অন্তরের আনুগত্য সপে দিলাম তোমার দুটি পায়ে।


কর্তব্য যা কিছু আছে, সব ফেলে এসেছি পিছে,
আর মৃত্যুতেও নেই ভয়।
যে মোহপাশে আবদ্ধ করেছো
আমাকে সে মোহ করেছে মৃত্যুঞ্জয়।


হে প্রেমরাজ্যের রাণী,
সব গেছি ভুলে, শুধু তোমাকেই জানি।
অবনত মস্তকে বাড়িয়েছি দুহাত
প্রেমমায়ায় সে হাত দুটি ধরো,
যেমনে রাণী রাজ্যের সিংহাসন অধিকার করে
তেমনে আমার অন্তরের সিংহাসন অধিকার করো।


পৃথিবীতে যতো সনা-মাণিক্য আছে
সবই এনে সবে দেবো তোমার কাছে।
আমার যা অর্জিত রত্ন তা তোমার হয়ে থাক,
সবুজ পান্নার হার তোমার গলে ও বক্ষে শোভা পাক।
কর্ণ কপোলে ভূষিত হোক বিবিধ রত্নালঙ্কার,
যে অলঙ্কারে প্রজ্জ্বলিত তুমি তা আমার অহংকার।
কর্ণদেশ হতে ওষ্ঠাধার অবধি তোমার গোলাপি গণ্ডদ্বয়
সেখানে অলঙ্কারের লাঞ্ছনা লাগবেনা নিশ্চয়।


স্বর্গীয় রূপে আমার এ প্রাণে এনেছো মাদকতা,
উন্মাদ করেছো আমায়,
আমার সব জ্ঞান শক্তি সম্পদ আজ সমর্পণ করেছি তোমায়।
এতো কাল ধরে, এতো শ্রম করে
যে ধনসম্পদ পেয়েছি আমি,
তুচ্ছ সেসব, তৃণবৎ যেনো,
আমার পৃথিবীতে শুধু তুমিই দামী।
যা কিছু আমার, সবই দেবো তোমায়, ঝরাবো ত্যাগের বৃষ্টি,
বিনিময়ে শুধু চাই তোমার সুন্দর মুখের এক আয়ত উজ্জ্বল দৃষ্টি।