আমাকে ফিরতে বলো না, বন্ধু।
আমি আমার পথে লেগেছি বেশ,
এ চলা একবারই হয় শুরু,
এ পথের নেই যে কোন শেষ।
                                
অসারে গড়েছি এক যৌবন,
ক্ষিপ্ত, দৃপ্ত, লাগামহীন,
ডানা মেলে উড়তে চায় সারা আকাশে,
হিংস্র এক শকুনের মত।


পটভূমিহীন, অদ্ভুত, উন্মাদ,
শৃঙ্খলভেদী এক জ্বলন্ত যৌবন,
ছোঁ মেরে ধরতে চায় ময়ূরাক্ষীর দল,
ছিঁড়ে খেতে চায় যেন টুকরো টুকরো করে।


আমাকে ডেকো না, বন্ধু,
তোমাতে কর্ণপাত করার সময় নেই হাতে,
আমার তপ্ত যৌবনগিরি আমি পারি না সামলাতে,
এ যৌবন আমি শপেছি তারে,
যে আমায় টেনেছে কাছে একেবারে,
কোন সুরে সে আমায় করেছে উদাস!
আমি মাঝি, টানি দাঁর
তার রুপসাগরে বারংবার।
কোন পরশে, কোন আবেশে ধরেছে আমায়?
কোমল বাহুডোরে এ কোন মাদকতা!


আমায় পাবে না কাছে আর, বন্ধু,
আমি হারিয়েছি আমায় যেন তার মাঝে,
তার নূপুর নিক্বণ এ হৃদয়ে বাজে,
তার মন মাঝে আমি যেন ডুবে আছি,
সেখানেই মরে যাই, ফের উঠি বাঁচি।
আমার সর্বাঙ্গেই পাই তার মধু ঘ্রাণ,
তাকেই শপেছি এই দেহ, এই মন, এই প্রাণ।