তোমার হাত ধরে সন্তান দেখে এই পৃথিবীর আলোকিত মুখ,  
সন্তানের সব কষ্টে তুমি কাঁদো, তার সব সুখেই তোমার সুখ,  
দোলনায় দুলিয়ে দুলিয়ে সন্তানকে তুমি শোনাও আনন্দের গান,
তোমার মিষ্টি গানে হেসে উঠে সে, ছোট দেহে জাগে নতুন প্রাণ,
বুকে টেনে তার সোনা মুখখানি ভরিয়ে দাও তুমি আদরে-সোহাগে,  
ছোট সোনামনি ধীরে ধীরে বাড়ে, তাকে নিয়ে কতো স্বপ্ন যে জাগে!
তোমার মুখের কথা শুনে শুনে ছোট সোনার শেখা শুরু কথা বলা,  
তোমার দুটি হাত ধরেই শুরু গুটি গুটি পায়ে তার প্রথম পথ চলা,  
তোমার হাতেই শুরু তার চক শ্লেটেতে বিদ্যা শেখার সে হাতেখড়ি,
তোমার হাত ধরেই দুপা পড়েছে বিদ্যালয়ে, পড়ায় লেখায় মন ধরি।  
বইয়ের পাতায় পাতায় মাথা গুঁজিয়ে বিদ্যা শেখা কতো দিন-রাত!
পাশে এসে দাঁড়িয়েছো তুমি, মাথায় বুলিয়েছো স্নেহের ঐ দুটি হাত,
সন্তানের ভালোয় দুহাত তুলে কতো সময় কাটাও নামাজে, প্রার্থনায়!
কতো কিছু মানত করো তুমি, কখনও তার হিসেব কি আর করা যায়?
কতো অশ্রু ঝরাও যে তুমি, সব সময় চাও শুধু তোমার সন্তানের ভালো,
বন্ধুর এ জীবনে পথ চলতে শেখাও, দেখাও সে চলার পথে সকল আলো,
সন্তান সে যতোই বড় হোক না কেনো, শিশুর মতো তাকে নিয়েছো কাছে,
তোমার মতো ভালোবাসা দেবে, আদর দেবে, এ জগতে আর কেউ আছে?
সন্তানের জীবনের মূলে তুমি মা গো, তোমাকে কখনও অসম্মান করতে পারি?  
তুমি আদর-স্নেহের মহাসাগর, তুমি প্রিয় জননী, গর্ভধারিণী মহীয়সী নারী।