কলে আর কারখানাতে খেঁটে যায় দিনে রাতে হাজারো শিশু শুধু শান্ত রাখতে পেট,
কম মজুরী নেয় যে মেনে যন্ত্রের হাতল টেনে, কম বয়সী মানুষগুলোর কমই থাকে রেট।  
পায় না ফেলতে যে দম খাটুনির বোঝা নয় কম, শ্বাস আর প্রশ্বাসেতে মনকষ্টের হাওয়া,
হাতে-পায়ে কাজ করে যায়, দিন শেষে মজুরী যা পায়, জীবনে হয় না পূরণ চাওয়া।
শ্রম যে সীমার বেশি, ব্যথাতে ভুগছে পেশী, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যায় তারা,
নিঠুর এই পৃথিবীতে কে আছে ওদের সাথে? জীবনের লড়াই পথে হচ্ছে দিশেহারা।
কেউ ডেকে ভাঙছে জাহাজ, কেউ করে তামাকের কাজ, কেউ ভাঙ্গে পাথর-শক্ত ইট,
শিশুর ওই কোমল হাতে হাতুড়ির বিষম ঘাতে জীবনও হার মেনে হয় বিষাক্ত এক কীট।
কেউ লেদ কারখানায়, কেউ হাতে প্যাকেট বানায়, কেউ গড়ে তুলে দিচ্ছে অন্যের ঘরবাড়ি,
কাঁচ-গ্লাস বানাচ্ছে কেউ, কেউ তুলে ফেনিল সে ঢেউ লবনের বিশাল পটে করছে পায়চারী। ৩৭০
কতো শিশু গ্যারেজেতে ধুচ্ছে গাড়ি নিজের হাতে কিম্বা যন্ত্র হাতে সারছে গাড়ির খুঁত,
কেউ ফের ডাকছে যাত্রী চেঁচিয়ে দিবারাত্রি, পেট্রোল পোড়া কালো ধোঁয়ায় হচ্ছে যেনো ভূত।
কেউবা হচ্ছে পাচার, কেউ মেনে নেয় অনাচার, কতোজনে হচ্ছে যৌন নিগ্রহের শিকার,  
সয়ে যায় অশালীন কথা, দেহ আর মনের ব্যথা, মেনে নেয় কপাল দোষে অন্যয় ও বিকার,
জাতীয় শিশু শ্রম নীতি ছড়াতে পারছে ভীতি? তোয়াক্কা করে না কেউ এসব নীতির তোপ।
মালিকেরা হিংস্র বিশু মারছে শ্রমিক শিশু, বাঁধছে শিকলেতে, কিম্বা দিচ্ছে দায়ের কোপ।
কেউ মারে নল ঢুকিয়ে, মেরে কেউ দেয় চুকিয়ে নিষ্পাপ শিশুর উপর ছিলো যতো রোষ,
শ্রমিকে পড়লে মারা হয়না তার বিচার করা, পায় না ক্ষতিপূরণ, পায় না যে খোরপোষ।
শিক্ষা, চিকিৎসা বা বিনোদন চাওয়া যে অরণ্যে রোদন, জীবনসংগ্রামে হেরে অশ্রুজলে ভাসে,
ওদের সব কষ্টগাঁথা কাউকে দেয় না ব্যথা! শিশুশ্রমিকের আর্তনাদে কার কী যায় আসে? ৩৮০