এক পাপ থেকে অন্য পাপে মানুষ যাচ্ছে ধাপে ধাপে, অশ্লীলতা থেকে মাদকের ঘরে  
হতাশাই হোক কিম্বা দুরাশা, কিম্বা দুঃখ ভোলার আশা রাখে মানুষকে নেশাগ্রস্ত করে।  
পথ শিশু, রাস্তার ছেলে নেশা করে ক্ষুধা ভোলে, কেউবা ফের নেশা করে সঙ্গ দোষে,
নেশা না করলে উৎসব নয় তাই কেউ নেশাগ্রস্ত হয়, মাদকটাকেই আপন করে পোষে।
নেশাকেই কেউ জানে সত্য, কেউ ভাবে নেশা আভিজাত্য, মাদক ছাড়া জৌলুস কী হয়?  
মাদকাসক্তিকে পূঁজি করে কেউ কেউ লাভ তুলছে ঘরে, মাদক ব্যবসায় রাজা হয়ে রয়।
হিরোইন বা আফিম গাঁজা কিম্বা মদ তরতাজা রাতের আঁধারে আসছে সীমানা পেরিয়ে,
হাতে বেশি টাকা পেয়ে দায়িত্বশীলেরা দেখে চেয়ে, দুচোখে দেখেও যাচ্ছে দায় এড়িয়ে।  
আইনপ্রণেতা কিম্বা বাসের হেলপার কামাচ্ছে যে নিত্য দেদার মাদক-নেশার কারবারে,
প্রশাসনের ছত্রছায়ায়, ক্ষমতাসীনদের অর্থের মায়ায় মাদকের সর্প গিলে খাচ্ছে দেশটারে। ৬৫০  
মাদকে ছেয়ে গেছে পথ হাট ঘাট, মাদক বেচে কেউ হচ্ছে সম্রাট, শূন্য থেকে কোটিপতি,
রাজনীতির বলে নেতা-পাতিনেতা, যাদের তরে নেতা ছাতা তারাও বাড়ায় মাদকের গতি।    
শহর বা নগর কিম্বা গ্রামে অলিগলির ডানে বামে বস্তি, মেস, কলোনি, মহল্লা বা পাড়ায়
মাদকের থাবা ছড়িয়ে গেছে, সেই মাদকের থাবার নিচে কতো পুরুষ-নারী জীবন হারায়!  
স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে মাদক ব্যবসায়ী রাখে জাল পেতে, হিরোইন গাঁজার সাথে ইয়াবা,  
ইয়াবা। আহা! কি সুন্দর নাম! রসিকজনেরা আদর করে আপনজন নামে ডাকে—‘বাবা’।
মাদক নেশায় মানুষগুলো স্বপ্ন আশা করছে ধুলো, সমাজ-সংস্কার-রীতি-নীতি দলে পায়ে,
যারা রুখবে মাদকের চলন তারাই এ ব্যবসা করছে লালন দেশপ্রেম ভুলে বাড়তি আয়ে।
নেশার পথে উড়িয়ে টাকা নেশাগ্রস্তের ভাণ্ডার ফাঁকা, সংসার সুখ আগুন দিয়ে করে ছাই,  
মাদক এদের জীবন-মরণ, মাদকটাকেই করে স্মরণ, মাদক ছাড়া আর কিছু চাওয়া নাই। ৬৬০