ভিন্ন রূপে উপমা পর্যেষণা করিনা।
রহস্যময় জীবন স্রোতে বহে শুধু অন্তর্বেদনা।
কবিতা এখন এষণ বিহীন কোনো সুউচ্চ গিরি,
সৌষ্ঠব তটিনীর তটে ঘনিয়ে আসে একাকিত্বের শর্বরী!
কবিতা এখন আর তরুর কুঁজবনে বিহঙ্গ খুঁজেনা।
নীল বারিধির বুকে গড়াগড়ি সফেদ ঢেউ খুঁজেনা।
ঘাঁস ফড়িংয়ের মত তাঁর ডাগর অক্ষি যুগল খুঁজে।
তাঁর নেত্র গভীরে লুকায়িত প্রচ্ছন্ন মোতি খুঁজে।


নিষ্পলক দৃষ্টির আলোক বর্তিকায়
গন্তব্যে যেতে যদি কখনো থেমে যাই বিবর্ণ সন্ধ্যায়,
তাঁর চোখ বলে দেয় সেখানকার ডাক ঠিকানা।
আসমান জমিনের অপার সৌন্দর্যের আল্পনা!


কবিতা এখন আর সময়ের রূপ বুঝে না
তাঁর মৃদু হাসির আস্ফলনে রচিত হয় কালের মোহনা
শব্দেরা ছুটে যায় সে মোহনায়
তবু কেউ যেন থাকেনা, কেউ থাকেনা অপেক্ষায়!