যন্ত্রণার শেষ দেখনি, দেখতে চাও
চলে এসো হিমালয়ের পাদদেশে- একাকী;
দেখবে, রিক্ত হস্তে ধ্যানমগ্ন ঋষি বসে হেথায়
নিরস্ত্র-নিরন্ন তবু হতাশা বিহীন এক তান্ত্রিক
নিরবধি কালোত্তীর্ণ মহাপুরুষ- মুক্ত বিহঙ্গে
অবারিত পদচারণায়- কি প্রশান্তি তার মনে!


অবগাহন কর, বুঝতে পারবে মুক্তি স্বাদ কত মধুর
না পাওয়ার কি যে প্রশান্তি- বুঝতে চেষ্টা কর।


হারাবার মাঝেও প্রশান্তির বারতা; কত মধুর
বুঝতে পারছ?  উত্তর যদি না বোধক হয়
ফিরে যাও লোকালয়ে; বিরক্ত করো না তাকে।


প্রবল বর্ষণে-কর্ষণে প্রশান্তি যদিবা আছে
প্রচন্ড খরার শান্তির রূপ ভিন্ন; বুঝতে হবে
ব্যর্থতা তোমার, শুধরে নাও। দেখ, প্রকৃতির নবরূপ;
এখনও কি বোঝ নি? তবে ফিরে যাও লোকালয়ে।


বিরক্ত করোনা ধ্যানমগ্ন ঋষিকে ক্ষণিকের তরে
স্বল্পবসনা নিরন্ন ঋষিকে থাকতে দাও বিব্রতহীন
অনাহুত কামনায় তাকে ডেক না, ভেঙ্গোনা তার ধ্যান
অনাদিকাল থাকতে দাও তাকে, প্রকৃতির মাঝে
ফেরাবে যদি, ভাঙ্গবে ঈশ্বরের মন; গড়বে কে নতুন ভূবন?