গোলাপের কলি হয়ে আমি স্বপ্ন দেখা শুরু করি সেই প্রাতে,
ভোরের শিশির যেন সেচ দিয়ে আমায় বলে-
বেড়ে উঠো, সৌরভ ছড়াও সাথে সাথে।


আমি কত্ত তাড়াতাড়ি বড় হয়েছি, বুড়ো হতে চললাম বলে!
আমি আজ সেই ভয়ঙ্কর স্বপ্নবাজ প্রেমিকের কোলে,
ঝিমিয়ে পড়েছি,
সকাল হতে অপেক্ষার প্রহর গুনে গুনে।


তপ্তদুপুর পেড়িয়ে বিষন্ন বিকেলের ধূলি খেলা করছে-
আমার গাত্র বর্ণে- গন্ধে, আর প্রেমিকের ছন্দে!


একটা একটা পাপড়ি ছিড়ে নিয়ে নাকের স্পর্শে, কখনো-
হাতের অঙ্গুলি স্পর্শে দুমড়ে মুচড়ে, অথবা বেখেয়ালে-
পদতলে ফেলে, দলিত নয়তো অবহেলায় রেখে-
আমাকে করেছে ভিখারি.....
আমি কলি থেকে ফুল হয়ে ছন্নছাড়া কঙ্কাল হয়ে দাঁড়াই।


প্রেমিকের হাতে থাকে পাপড়ি বিহীন আমার অস্তিত্ব, যেন-
মায়াহীন জীবনে আঁতিপাতি করে খোঁজা বেভুলা মন।
উদাস হৃদয়ে শুকনো কান্না হয়ে হাতে ধরা পাপড়িহীন-
একটি গোলাপ, নাহ! সে তো আমি!


ভালবাসাহীন প্রেমিক আর পাপড়ি বিহীন আমি, যেন-
একই বৃন্তে, ধূলি ঝড়ে- প্রিয়ার পানে পলকহীন দৃষ্টি নিক্ষেপ!


০৫.০২.২০১৮ইং
রাত ১১:৫৮ মি.
উত্তরা, ঢাকা।