একদল গরু চরছে মাঠে
একজন রাখাল হলো তাদের নেতা,
এ কেমন নেতা গরুর দলে
সে তো অন্য জাতের ভিন্ন দেবতা।


একনাগারে হাঁক ছেড়ে সে
প্রজাদের স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে,
প্রজারাও ভিন্ন জাত হয়ে
দাসত্বের শিকল পড়েছে গলে।


সমস্ত প্রতিবাদের মনোভাব
কেড়ে নিয়েছে যেন কোন সম্মোহনি দৃষ্টি,
আজ তাই প্রজাদের হাবভাব
বদলে, দুই চোখে ভেসে উঠেছে প্রভুভক্তের দৃষ্টি।


খাওয়ার পরে যে সব উচ্ছিষ্ট
ফেলে দিলে পঁচে গন্ধ সৃষ্টি করবে,
গরু নামের প্রজাদের সে সব উচ্ছিষ্ট
খাওয়াচ্ছে দেবতা আন্তরিকতার সাথে।


যা খেয়ে প্রজাদের স্বাভাবিক বাঁচার হার
ক্রমেই হ্রাস পেয়ে চলেছে,
কিন্তু তাতেও তারা পাবে না নিস্তার
মরার আগেই মরতে হবে দেবতার হাতে।


চামড়ার নিচে রক্তাক্ত মাংশ দেখার আগেই
স্বপ্নেই হিংস্রতা এনে দেয় দেবতার চোখে,
বক্ষ থেকে শুষে নেয়া স্বর্গের সুধা পেয়েও
এতটুকু দৃষ্টি কাঁপে না গলায় ছুরি চালাতে।


কি দেয় নি তারা দেবতাকে
এই অল্প সময়ের জীবনে,
পাঁজড়ের হাঁড় গুলো নিশানার মত জেগে আছে
তাতেই বোঝা যায় দেবতা কতটুকু পেয়েছে।


হিংস্রতার দৃষ্টি যেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে
দয়া-মায়া সেখানে বিরল,
হিংস্র দৃষ্টিতে চোখ রেখে রেখে
সরলরাও হয়ে ওঠে হিংস্র।


সহ্যের শেষ প্রান্তে এসে যদি কেউ বিদ্রোহী হয়ে ওঠে
বিদ্রোহী শব্দগুলো তখন আর্তনাদ হয়ে ভেসে যায় বাতাসে;
দেবতার চোখে তখন সে দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে ওঠে
যার শেষ পরিনতি চলে যায় কল্পনার উর্দ্ধে।


দেবতার হিংস্রতা চাক্ষুস দেখে
প্রজাদের হিংস্রতা হার মানিয়ে যায়,
আর কেউ বিদ্রোহী হয়ে ওঠার আগে
দেবতার হিংস্রতা ছেয়ে যায় তাদের দুই চোখের তাঁরায়।


হিংস্র দৃষ্টি চোখের তাঁরায়
আর বিদ্রোহী মনোভাব দেহের ভিতরে নিয়ে,
বাচ্চারাও মাঠে মাঠে চড়ে বেড়ায়
উত্তরসূরিদের মত কোন এক রাখালের নেতৃত্বে।