হে মহামতি নারী,
তুমি মায়ের জাত
তুমি বোন এবং অর্ধাঙ্গি;
অথচ তোমার সম্মান আজ হয়েছে ধূলিস্যাৎ।


তুমি নিজের মাঝে
খুঁজে দেখো তাই,
উদ্বাহু নৃত্যে
কত পশু আসে যায়।


তুমি ভেবে দেখো কি হীনমন্যতা
তাদের প্রেরণা যোগায়,
তাদের উগ্র ব্যাগ্রতা
অশুভর মধ্যে পথ হারায়।


প্রতি রাতে সাধুর ছদ্মবেশে
তোমাকে অনেকে করে আলিঙ্গন,
নিজের বিবেক, ধর্ম জলাঞ্জলি দিয়ে
হয়ে যায় সবাই এক একটা ক্ষুধার্ত শকুন।


দিকভ্রান্ত পথিকের দৃষ্টি
যখন তোমার দুই চোখ ছুঁয়ে যায়,
তখন, তাদের নগ্ন হায়েনার দৃষ্টি
তোমার শরীরের প্রতি খাঁজে ঘুরে বেড়ায়।


তোমার দৈহিক চাহিদা প্রকৃতিগত নয়
মিলনের সোহাগের বদলে নির্যাতন করা হয়,
যন্ত্রনায় তোমার শরীর নীল হয়ে যায়
তবুও তুমি স্তব্ধ গায়েবি হাতের যাদুর ছোঁয়ায়।


জলে দুই চোখ ভরে ওঠে
তবুও চাঁদের হাসি শোভা পায় তোমার মুখে,
কারন তোমার পেটেও ক্ষুধা আছে
পরিধান করতে জামা চড়াতে হয় শরীরে।


পেট কি বোঝে কখনো
সম্মান, মর্যাদা কাকে বলে?
তা যদি বুঝতো কখনো
তাহলে তুমি নির্যাতিত হতে না হায়েনার হাতে।


আর এখানে, ভদ্র দুনিয়ায় সব সুবেশি ব্যাবসায়ী
খদ্দের ধরে চতুর হাসি হেসে,
লাভের টাকায় পকেট করে ভর্তি
একরাশ মিথ্যা আবর্জনা খালাস করে।


কেউ কেউ লজ্জ্বার মাথা খেয়ে
ভিক্ষুকের টাকাতে পকেট ভরায়,
কেউ দেখলো এই ভেবে
হাতের পিছনে মুখ লুকায়।


মানবতা, বিবেক বিসর্জন দিয়ে
যারা নিজের মৌলিক চাহিদা মেটায়,
তুমি কি জানো, তোমার সাথে তাদের তুলনা করতে
শয়তানও লজ্জায় মুখ লুকায়।


প্রতিরাতে তোমাকে নিয়ে হায়েনারা খেলে নিষ্ঠুর খেলা
তবুও তুমি জেনো, খুব ভালো আছ ওখানে,
পাশাপাশি থেকেও তোমাকে দেখতে হচ্ছে না
সভ্য সমাজের অসভ্য মানুষদের বিকৃত চিত্তকে।


তুমি যুগ যুগ অন্যায় থেকে ভিন্ন হয়ে বেঁচে থাকো
যদিওবা সমাজের ঘৃনিত অন্য পৃষ্ঠে,
যার চিত্ত বিকৃত নয় সেই বুঝবে তোমার মূল্য
অসভ্য জানোয়ার আর তোমার মাঝে কত ব্যাবধান আছে।