আবার আমি আসলাম ফিরে
তোমাদের ভিড়ে,
আমার সবুজের নীড় ছেড়ে
তোমাদের শহরে।


দূরে ফেলে রেখে এসেছি
গ্রামের বাড়ি,
তার সাথে রেখে এসেছি
মায়ার তরী।


রেখে এসেছি গাছ-গাছালি
পাখির ডাক,
সকাল-সন্ধ্যার আকুলি বিকুলি
রাতের জোঁনাক।


রেখে এসেছি কচি ঘাসের গন্ধ
সবুজের মায়া,
মেঠো পথে হেঁটে চলা অক্লান্ত
গাছের ছাঁয়া।


গ্রামের মানুষদের জীবন যুদ্ধ
হাসি-কান্না,
হৃদয়ে আন্দোলিত আনন্দ
খুশির বন্যা।


দুপুরে কাঠ ফাঁঠা রোদ
মাঠ চৌচির,
কৃষকদের ঘিড়ে ধরে অবসাদ
ছায়ায় শরীর।


পানিতে ঝাপা-ঝাপি
নদীর ঘাঁট,
মাছেদের লাফা-লাফি
বর্ণ বিভ্রাট।


আকাশ কালো মেঘে ছেঁয়ে গেলেই
ঝড়ের আর্তনাদ,
আম কুড়াতে মায়েরা বাঁধা দিতেই
ছেলেদের প্রতিবাদ।


সন্ধ্যায় পাখিদের নীড়ে ফেরা দেখা
শেয়ালের বিলাপ,
ঘরে ঘরে অন্ধকারের চোখ হয়ে জ্বলতে থাকা
মাটির প্রদীপ।


রেখে এসেছি গ্রামের পরিশ্রমী সরল মেয়েদের
মায়ের মমতা,
মায়ের চোখে হাস্যজ্জল আদর
কোমল নির্মলতা।


আসার সময় ঘন ঘন ভিঁজে উঠেছে
মায়ের চোখ,
কষ্ট পাবো বলে কৌশলে আঁচলে ঢেকেছে
মা মুখ।


বার বার পিছন ফিরে তাকিয়েছি
মা দাঁড়িয়ে,
যতদূর দেখা যায় দেখে গিয়েছি
নিষ্পলক তাকিয়ে।


এখন আমি আছি এই ব্যাস্ততম শহরে
ব্যাস্ত সময়ে,
সবাই ব্যাস্ত সবার তরে
সময়-অসময়ে।


এই নাও হাত, বাড়িয়ে দিলাম
গ্রহন কর,
হাতের সাথে হৃদয়ও দিলাম
রক্তাক্ত কর।


রক্তের মাঝে ডুবে যেতে চাই
ধিরে ধিরে,
ডুবে ডুবে যেতে চাই
স্মৃতির দ্বারে।


এসো এসো হে বন্ধুরা সবাই
হাত ধর,
কাঠ শুষ্ক শহরে আমায়
রক্তাক্ত কর।