সারাদিন চাপাবাজি করে
আর রাত ভর হিসাব করে,
কিভাবে জনগনের পকেট মেরে
নিজের ঘর ভরা যেতে পারে।


নেতারা সব মঞ্চে উঠে
কথা বলে আঙ্গুল নাচিয়ে নাচিয়ে,
জোর গলায় চিৎকার করে
মাছ ঢাকে শাক দিয়ে।


নেতার চামচারা সবাই মিলে
উলঙ্গ হয়ে নেচে বেড়ায়,
কখনো কখনো ভান করে
হাতের উল্টোপিঠে লজ্জ্বায় মুখ লুকায়।


ভোটের সময় যদি, জনগন নেতাদের বলে
পায়খানা থেকে পোকাগুলো খাও তুলে,
বাপ বাপ কোরে পায়ে সালাম দিয়ে বলে
এত সুন্দর খাবার খাইনি জীবনে!


লজ্জ্বা শরমের মাথা খেয়ে
অনেকে আবার সুদিনের গান শোনায়,
তাই শুনে গর্দভ জনগন নেচে-গেয়ে
হাত তালি দিয়ে তাদের সম্মান জানায়।


অনেকে আবার নেতাদের কাছ থেকে কিছু টাকা পেয়ে
প্রভুভক্ত কুকুরের মত করে,
আবার গলাফাটিয়ে চিৎকার করে
নিজের দল ভারি করে গর্দভ আরেক দল জনতা দিয়ে।


একবারও কেউ ভাবে না
তাদের নির্বাচিত নেতা কেমন হবে?
ভালোমন্দ চিন্তা না করেই নিজেকে দেয় তারা মিথ্যা শান্তনা
আর মনে মনে বলে নাহ; এবারের নেতা ভালোই হবে।


আমাদের সংসারও এখন থেকে ভালোই চলবে
রাস্তায় রাস্তায় আর কোন হরতাল হবে না,
দেশে গরীবের সংখ্যা অনেক কমে যাবে।
সন্ত্রাসের গুলিতে অকালে কেউ প্রাণ হারাবে না।


কিন্তু নিজেদের সর্বনাশের ষোলকলা পূর্ণ করে
হায়েনার ন্যায় নেতাদের ভোটে জয়ী করে দিয়ে,
একবারও নিজের সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে
জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ দেয় হাসি-মুখে।


সারা বছরই গর্দভ জনগন
নিজেকে বুদ্ধিমান মনে করে
মনে করে সারাবছর নিত্যদিন
নেতার সাথে আনন্দ লুটবে নিজের মত করে।


অথচ গর্দভ জনগন যখন দেখে
তারা নয় আনন্দ লুটছে নেতারা,
তখন তাদের কি আর করার থাকে
দেয়ালে মাথা ঠোঁকা ছাড়া?


আর শুধু করার থাকে
দুই হাত উর্ধ্বে ছোড়া,
তাদেরকে গালি দিয়ে
পাপগুলো নিজের গায়ে মাখা।


বছরে একবারও দেখা যায় না
নেতাদের, আর কোন মহল্লায়, গ্রামে
যেন হাওয়া হয়ে গেছে তারা
পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় চড়ে।


যে পায়খানার পোকাগুলো নেতাদের খাইয়েছিলে
আজ তোমরাই খাও তা বসে বসে,
অপমানের প্রতিশোধ তারা নিয়েছে
গাধার মত তোমরাই নেতা করে দিয়েছ বলে।