কেউ থাকে না, সবাই চলে যায়
কেউ ঘুমের জগতে
কেউ চলার পথে।
কেউ স্বপ্নের মাঝে
কেউ দীর্ঘনিঃশ্বাসে।
কেউ আবার ক্রর হাসি হেসে।
আমিও হয়তো এইভাবেই যাবো ভেসে
ব্যাঙ্গতার পাঁজর ঘেঁষে।


হাঃ হাঃ হাঃ!!!
আমি এবার উম্মাদ হবো
ঘর ছেড়ে বের হবো
আর হয়ত কোনদিন ফিরবো না।


অঝোর ধাঁরায় কেঁদে যাবে আমার মা
প্রতিসময়, প্রতিক্ষন
সহানুভূতি জানাবে অনেকজন।
তবুও মা কাঁদবেই
নাড়িতে টান পড়লেই কাঁদবে।


সেই কবে শুকিয়ে গেছে নাড়ি
তবুও অন্তরের আহাজারি
মনে করিয়ে দেবে কাঁচাই আছে নাড়ি।


মা'য়ের নাড়ি ছেড়া ধন
একদিন সবার কাছেই হবে মলিন।
তবুও মা কেঁদেই যাবে,
হঠাৎ মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে গেলে
অথবা কারো কন্ঠে 'মা' ডাক শুনতে পেলে।
মা নিরবে নিভৃতে কেঁদে যাবে।
কেউ দেখবে না সেই চোখের পানি।


হয়তো আমিও কাঁদবো
অঝোর ধাঁরায় গড়িয়ে পড়বে আমারো চোখের পানি।


সংসারের কাঠগড়ায়, আমার ব্যার্থতার অপরাধে
হয়তো সংসারের শাসন কর্তার পৈশাচিক শাসন রসবোধে
ছাই পড়বে আমার ঘর ছাড়াতে।
মুখ চুন করে হয়তো বসে থাকবেন তিনি
তবুও ভালো হবে
কারন, প্রতিসময় দেখতে হবে না মায়ের চোখের পানি।


বাবা'র উত্তেজনা আর কামনায়
মা, গর্ভে ধারন করেছে আমায়।
মা প্রতিদান দিয়েছে
আর প্রতিপালক হয়েছে সৃষ্টিকর্তা,
অন্যদিকে বাবা হয়েছে শাসন কর্তা!!


নাড়ি কাঁটলে যখন রক্ত ক্ষরন হয়
সেই রক্তের প্রতিটা কণাতে ভালোবাসা থাকে।
ভালোবাসা পূর্ণ সেই রক্তের গন্ধ
বাতাসে ভেসে যায়, মাটিতে শুকিয়ে যায়
বাতাসে, মাটিতে, পানিতে সর্বত্র
ভালোবাসা ছড়িয়ে যায়।


এই পৃথিবীতে ভালোবাসার জন্ম দিয়েছে মা'য়েরা।


তাই আমি বাবা হতে চাই না,
অপরাধের একটা অংশ কাঁধে নিতে চাই না,
আমি নির্লিপ্ত থাকতে চাই না।


আমি উম্মাদ হতে চাই
আমি উম্মাদ হয়ে ঘর ছাড়তে চাই।


হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ