আর আমি লিখবো না
কল্পনায় ভরপুর যতসব কবিতা,
এবার গদ্য লিখবো একটা
যেখানে থাকবে শুধুই বাস্তবতা।
ঘাম ঝরা দুপুরে
কল্পনায় থাকবে না চন্দ্র তারা।
গভির রাত্রীতে
হাসবে না সূর্য্যি মামা।
লেখা থাকবে শুধু সেই সব কথা
যা মূল্য পাবে মিষ্ট ভাষাহীন গদ্যতে,
মধুর মিষ্টতা নিয়ে লিখলে সব কথা
তিক্ততাগুলো লিখবো কোন পৃষ্ঠাতে।
বন্ধ করা দীর্ঘশ্বাস গুলো
বুকের মধ্যেই কবর দিতে চাই,
আরেকটা দীর্ঘশ্বাস আসার আগেই যেন
রিক্ততাগুলো ভয়ে পালিয়ে যায়।
******** ********
পরাধীনতার শিকলে আজ স্বাধীনতা বন্দি
বিদ্রোহী মনোভাব কাঁদে ডুকরে ডুকরে,
ক্ষুদা এখন হিংস্র ভাবে বুলায় দৃষ্টি
আগুনে ঝলসানো সূর্যের দিকে তাকিয়ে।
সেখানে, শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে
নারীর নগ্ন বুকে মাথা রেখে,
মানুষ সদৃশ হায়েনারা কাব্য করে
স্নিগ্ধ চাঁদের সাথে সূর্য্যকে তুলনা করে।
পৃথিবীর শক্ত মাটিকে আঁকড়ে ধরে
বেঁচে থাকার সমস্ত আশা
মড় মড় করে ভেঙ্গে পড়ে
ক্ষমতার কাছে যখন মাথা উঁচু করে সরলতা।
এই ক্ষমতার রথে চড়ে
ভয়কে প্রধান অস্ত্র করে,
হায়েনারা দলে দলে নেমে আসে
কঠিন চওড়া বুকগুলোর উপরে।
শক্ত পেশি চওড়া বুক
রোদে পোড়া তামাটে চামড়া,
তবুও এরা সাহসে বাঁধতে পারে না বুক
একতাহীন বিদ্রোহ কেমন করে করবে তারা!
বিনীত বিনীত মুখ আর
দামি কাপড়ের নিচে কুষ্ঠ শরীরগুলো,
দাসত্ব স্বীকার করিয়েছে তামাটেদের
তাই অসহাত্বের কাছে হার মেনেছে তাদের বিদ্রোহ।
আবার অনেকে অনেক অসৎ কার্য করে
যেন ‘অধিক পূণ্য’ পাওয়ার লোভে,
অনেকে ধ্বংস হয়ে যায় এই ‘অধিক পূণ্যে’
তবুও কারো চোখ খোলে না তাতে।
খোলা চোখগুলো অন্ধ
কিছুই দেখতে পায় না,
যে গুলো দেখতে পায় সে গুলো বন্ধ
ইচ্ছে করেই কিছু দেখতে চায় না।
আসলে কেউ নিজ থেকে হাত বাড়িয়ে
বিপদ ডেকে আনতে চায় না,
তারা যদি কখনো বিপদে পড়ে
অনুতপ্ত ছাড়া তখন কিছুই করার থাকে না।
সবার প্রয়োজন প্রচুর ধন
কিন্তু মানবতার নেই প্রয়োজন,
মানবতাকে ভক্ষন করলে কি ভরবে দেহ মন
তাহলে মানবতা নামের বাড়তি বিলাসিতার কি প্রয়োজন।
পৃথিবী আজ ডুবে আছে
নগ্ন সভ্যতার উষ্ণ রসে,
কাব্য তাদের আগলিয়ে রেখেছে
গদ্যময় পৃথিবীর কাছ থেকে।
নিজেকে ঘিড়ে সবাই বেঁচে আছে
পাশের জনকেও দেখার সময় নেই কারও,
এভাবে বেঁচে থাকার মাঝে
সুধা বলে আসলে নেই কিছু।
শক্ত পেশি চওড়া বুকের মাঝে কাব্য লুকিয়ে আছে
আর এই মানুষগুলো সবাই সবাইকে বুকে জড়িয়ে রাখে,
এখানেই তো সুখ, এখানেই তো রস লুকিয়ে আছে
যা খুঁজে পাওয়া যায় না উচ্চাবিলাসী সভ্যতার মাঝে।
কে বলে গদ্য রসহীন!
আসল রসতো গদ্যেই লুকিয়ে আছে,
সত্যিকার অর্থে পৃথিবী যদি হয় গদ্যহীন
পৃথিবী তখন রসাতলে তলিয়ে যাবে।