নিভাঁজ সাদা বকের ঝাঁক উড়ে চলে
হারিয়ে যায় ঐ দূর বহুদূর আকাশে,
আমার হৃদয়ে আজ কিসের খেলা চলে
বর্ষার এই ঠান্ডা শিরশিরে আবেশে!


ক্ষণে ক্ষণে কালো আকাশ চিড়ে দিয়ে যায়
বিজলীর জ্যোতিময় তীক্ষ্ণ আলোর রেখা,
বর্ষা সিক্ত হৃদয়ে আমার বেদনা খেলে যায়
এমন দিনে প্রিয়ার মুখ যে পাই না দেখা।


এই ক্ষণে প্রিয়া আমার দাঁড়িয়ে আছে হয়ত
উদাস চোখে ব্যাথাতুর মনে জানালার গ্রিল ধরে,
ভিজে ভিজে সেই সংবাদ দেওয়ার ছলেই হয়ত
কাক ডাকছে অবিরাম ভাবে কা কা স্বরে!


অথচ এই বৃষ্টি বাদলা দিনে আমি গৃহ বন্দি
উঠোন-বাহির, রাস্তা ঘাটও পুরো কর্দমাক্ত
এমন বর্ষাতে কুকুর বিড়ালরাও করেছে সন্ধি
এমনভাবে শুয়ে আছে যেন একে অপরের ভক্ত!


গরুগুলো গোয়ালেই আছে আজ সারাদিন
একবারও বাইরে বের করা হয়নি,
বর্ষা'র সাদা ছোট ঢেউ ফুলে ঢেকেছে জমিন
তাই কৃষকেরা আজ কেউই মাঠে যায় নি।


সময়ের আগেই দিন ক্ষণে সন্ধ্যা নেমে এসেছে
বাদলা ভেঁজা আমার এই ছোট্ট গ্রামে,
দূর হতে শেয়ালের করুন বিলাপ ভেসে আসছে
কদম ফুলের সুবাসও আসছে বাতাসের খামে।


আহ,এই সুবাস যেন প্রিয়ার শরীরের সুবাস
বাতাসে ছড়েছে জানালা বন্ধ করার আগে !
ক্ষুণ্ণ মন নিয়ে যখন প্রিয়া ফেলেছিল দীর্ঘশ্বাস
তখনই পাগল করা সুবাস নাকে এসে লাগে।


ভাল লাগার কোমল পরশের অনুভূতি নিয়ে
চোখ বন্ধ করে দুই হাত বাড়ালাম মহাশূন্যে,
দক্ষিনা বাতাস উপহার আনলো উড়িয়ে উড়িয়ে
এক পশলা ঠান্ডা শীতল বৃষ্টি আমার জন্যে।


এবার বৃষ্টি ভেঁজা হাতে তাকালাম মহাশূন্যে
যেখানে অনুভূতি আঁধারের সাথে খেলা করে,
আরো এক পশলা বৃষ্টি অনুভূতিকে ভেঁজাবার জন্যে
ধেয়ে আসছে নৃত্য ছন্দে পৃথিবীর উপরে।


***** বরষার আয়োজন *****