আকাশে যখন চাঁদ ওঠে
              তাঁরা'রা যখন জোনাকীর মত জ্বলে
তখনও মনে পড়ে তোমার কথা;


তুমি আজ নেই পাশে
              নেই আমার সংস্পর্শে
আছে শুধু তোমার স্মৃতিকথা।


চাঁদের আলোয় গভীর রাত্রি
              হেঁটেছি দুজন পাশাপাশি
ভুলে গিয়ে সকল দুঃখ-ব্যাথা;


আজ যদি তুমি অনেক দূরে থাক
              কারও হাতে নিজেকে তুলে দিয়ে রাখ
তাহলে ভুলে যেয়ো আমাদের সকল স্মৃতিকথা।


সকালের আলোর মাঝে
              অথবা শিশিরের প্রতি কণাতে
আজও আমি তোমাকে দেখতে পাই;


পাখিদের কোলাহলে
              পানির কলকল শব্দে
আমি তোমার কণ্ঠ শুনতে পাই।


জৌষ্ঠের খর রৌদ্রে
              বর্ষার জল সমূদ্রে
আমি তোমায় দেখতে পাই;


বসন্তের বকুল ফুলে
              হেমন্তের সুগন্ধে
তোমার শরীরের গন্ধ পাই।


শিরশিরে ঠান্ডা হাওয়ায়
              দক্ষিনা বাতাস যখন দেহ ছুয়ে যায়
আমি তখনও তোমার ছোয়া পাই;


অন্ধকার রাত্রে এক টুকরো জোনাকীর আলো
              সঙ্গী অন্ধকারের চেয়ে অধিক ভাল
সেই আলো, তোমার স্মৃতিতে খুঁজে পাই।


শীতের কাঁপুনিতে
              দুপুরের রোদের তাপে
আমি তাল হারাই;


মাথা ঝিঁম ঝিঁম করে
              মনে হয় যাব পড়ে
তবুও জেগে উঠি যেন কিসের আশায়!


এভাবেই থাকবো
              যতদিন বাঁচবো
থাকবে আমার অনুভবে;


কঠিন বাস্তবে
             তুমি আমার নেই পাশে
চিরজীবন হৃদয়েই রয়ে যাবে।


বি.দ্র :  মিতা দি'র (সৌমিতা) কাল অবধি তার কিছু কবিতা পড়লাম। সব কবিতা পড়ার পর হঠাৎ করেই আমার ডায়েরীর ভিতর এই কবিতাটার কথা মনে পড়ে গেল। তাই আসরে দিয়ে দিলাম। কোন কিছু না ভেবেই আগে লেখা হলেও আজ ভেবেই মিতা দি'র নামে উৎসর্গ করে দিলাম এই লেখাটি।


কিছু কথা : জীবন, সব কবিতার মত নয়। কবিতাকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য, ছন্দময় করে তোলার জন্য বাক্য সাজাতে হয় বলে সাঁজানো।
তবে জীবন সবসময় সাঁজানোর অপেক্ষায় থাকে না। ছন্দময়ও থাকে না। তাই ছন্দহীন হওয়ার সাথে সাথে অতীত মনে রেখে চলার কোন অর্থ নেই কারন, এই জীবনের উপর অনেক জীবনের অধিকার আছে, আনন্দ লুকিয়ে আছে।
তাই নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ।


পড়ে থাক সব জরা
পড়ে থাক সব খরা
আমি পূর্ণ করবো এবার আমার জীবন ধারা।


নামবো আবার আমি রণাঙ্গনে
ব্যার্থতা পড়ে থাক এক কোণে
আবার আমি নতুন জীবন রচনা করবো জয়ের আলিঙ্গনে।