শরীর থেঁতলে গেছে, শিরা ছিঁড়ে গেছে
তীরবেগে রক্ত বেরিয়ে আসছে
আমি তলিয়ে যাচ্ছি নিজের শরীরের গরম রক্তের ভিতরে
হারিয়ে যাচ্ছি গরম রক্তের অনুভূতির মত অনুভূতিতে।
মৃত্যুর স্বাদ বুঝি এমনই হয়!
তবুও আমার সাহস নেই মুখ ফুঁটে বলার, তোর মত কষ্টে মরছি আমি।


আমি ভয় পেয়েছি, যন্ত্রণায় কুঁকড়ে গেছি কিন্তু, কিন্তু, একবার থেকে দুই বারের কাছাকাছি।
তবুও আমার বলার সাহস নেই, তোর মত বারবার ভয়ে, যন্ত্রণায় কুঁকড়ে গেছি।
আমি একবার ভয় পেয়েছি শুধু মৃত্যুর ভয়, আমি একবার মরে নিচ্ছি মৃত্যুর স্বাদ
বিষাক্ত বিস্বাদ!
আমার বলার সাহস নেই কিন্তু আমি জানি, তুই বারবার ভয় পেয়েছিস,
ভয় পেয়ে কুঁকড়ে গেছে শরীর, মৃত্যুর ভয়েরও উর্ধ্বে সে ভয়,
গলা কাটার যন্ত্রণার চাইতেও বেশি যন্ত্রণা পেয়েছিস পৈশাচিকতায়
আমি জানি, আমি সব জানি তাই বলতে পারছি না তোর মত করেই আমি মরলাম।


আচ্ছা, আমি কি সব জানি?
তখনকার তোকে আর দূর্ঘটনার একটু আগের তোকে?
দুই সময়ের অনুভূতিকে?


এটা কী দূর্ঘটনা?
নাহ, এটা দূর্ঘটনা হতে পারে না।
এটা প্ল্যান, এটা একটা মাস্টার প্ল্যান
রুচিশীল সমাজ, সভ্যতা আর বিবেকবানদের মাস্টার প্ল্যান।
মাস্টার প্ল্যানে কোন খুঁত থাকে না, ঘটনা ঘটার পরে কোন প্রমাণ থাকে না
তাই এটার রূপ হয়ে যায় দূর্ঘটনা।


তুই কী দেখতে পাচ্ছিস, বিবেকবানদের?
তুই বিবেকবান হতে আসিস নাই, এসেছিলি একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ জন্ম দিতে
অথচ আজকের বিবেক তোকেই মৃত্যুর বিস্বাদে ডুবিয়ে দিল।
আর আমি তো কোন ছাড়......... হা হা হা হা হা।


আমি বুঝি নারে অরুণিমা, আমাদের বারবার মরে কেন সবার চোখের মণি হতে হয়
মরার আগে কেন চোখের মণি হওয়ার সুযোগ হয় না?
বারবার মরে কেন কিছু সময়ের জন্য ঝর তুলতে হয়, কিছু মানুষের বিবেককে নাড়া দিতে হয়
আমাদের মরার আগে কেন ওরা মানুষ হয় না?
আমাদের মরার আগে কেন একটা ঝর ওঠে না?
ঝরের পরে হালকা বৃষ্টি, ঠান্ডা ঠান্ডা ঝির ঝিরে বাতাস, একটু উষ্ণতার খোঁজে
প্রিয় কারো অভাব অনুভব করার মত সময় কেন কারো মরার আগে হয় না?


আর কয় জন বিষাক্ত বিস্বাদের মত মৃত্যুর অনুভূতিতে তলিয়ে যাবে?
আর কয়জন তলিয়ে যাওয়ার পর সব ঠিক হবে?
আর কয়জন?