লেখাটা কবিতা হয়েছে বলে বিশ্বাস করি না। আমার স্মৃতি বিজরিত কিছু উচ্চারণ মাত্র। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

শহরটাকে গরীব-গরীব লাগছে নিতান্ত
শহরের মলাটটাও লাগছে মলিন,
রিক্ত দিশেহারা বিবর্ণ এক ব্যানারের মত।

ঠিক আগের মত লাগছে না রঙিন, যেমনটি ছিল
লাজিনার বাসার সামনের দোকানপাটগুলো।
হইচই আছে ঠিকই...... তবুও প্রাঞ্জলতা হারিয়েছে বেশ।
চৌরাস্তার হাইওয়ে ভেস্ট পরা সার্জেন্টটাও
বিবর্ণ মনে হচ্ছে ভীষণ;
অনর্থক কাঁকতাড়ুয়া এক।

এমনটি......এমনটি ঠিক ছিলনা
সাত আট দিন আগে
ঠিক ঠিক মনে আছে আমার।
বললে ভুল হবে না এতটুকুও।

ওই যে রুবেলের ক্যান্টিন......
চা খাবনা বলে করতাম পণ প্রতিদিন।
তবুও চার-পাঁচ কাপ চলতো নির্বিঘ্নে,
সিগারেটগুলোও জ্বলতো নিঃশেষে......
হঠাৎ হলো শান্ত সেই ব্যস্ত সময়গুলো।
মনে হয়, ঘড়িটার গলা টিপে দিয়েছে কোন অসীম হস্তক্ষেপ।
বিষয়ী চেতনাগুলো থমকে আছে এই গাঢ় মুহূর্তে,
নিশ্চুপ, নিস্তব্ধ কিংবা বলি নিঃসঙ্গ।

কথা দিয়েছিলে, সূর্যাস্তের ঠিক আগে
দেখা করবে বলে......
করেছো কি??
স্তব্ধ সময় অপেক্ষা করেছিল আমার সাথে
নিদারুণ বিবর্ণ মুহূর্তমুকুরে......
মহাকাল গ্রাস করেছে সেই নিঃসঙ্গ বিকাল।

ভিন্ন এক বৃষ্টিতে, পকেট ভরা ব্যস্ততা নিয়ে
ফাঁটল ধরা অঙ্গীকারের আশায় ছুটেছি।
তুমি আসবে বলে, বর্ষার প্রথম কদমফুলটাকে জানিয়েছি অভিবাদন,
বর্ষার প্রথম কদমের স্পর্শে জীবন্ত-জীবনের দেখা মেলে বলে......
বলেছিলে, তুমি আর আমি সেই জীবন্ত-জীবন ছুঁয়ে দেখবো বলে......
আসোনি তুমি।

নিঃসঙ্গ করেছো ক্লান্ত বিকেল, করেছো মলিন এই শহরের মলাট
তোমাকে......তোমাকে দোষী সাব্যস্ত করার নেই তো কেউ আমার।
তবুও আমার শান্তি-শান্তি খেলা চলবে অনবরত,
প্রাচীর তুলে দেব আত্মার প্রতিটি পরতে,
অস্পৃশ্য হব আমি।
নিশ্চুপ, নিস্তব্ধ কিংবা বলি নিঃসঙ্গ।

মধ্যরাতের জ্বলন্ত সিগারেটে যদি তোমায় স্মরণ হয়
শপথ সেইসবকিছুর, যা ছিল তোমার বিষয়ী দর্পণে......
নগ্ন, বিবর্ণ, নিদারুণ মলিন।
সপ্নধরার মত হব না মোহগ্রস্থ আর।

শহরগুলো হবে গরীব, আরও গরীব
দুর্ভিক্ষ স্পর্শ করবে আরও একবার
সাদাকালো ফ্রেমে বন্দি হবে প্রতিটি
জীবন্ত-জীবন ।
জ্বালানী ফুরাবে, আলো ফুরাবে
স্বপ্নধরাও আর হাঁটবে না রাজপথে।
আকাশের উপরের আকাশে যে বেঁধেছি
স্বপ্নের বৃষ্টি।
ভুলে যেওনা......
মহাপদ্মকালের সঙ্গী হবে মহাকালের মহান সৃষ্টি।