বোধের হাতে হাতকড়া পড়িয়ে,
দূরন্ত হতাশার বাজারে অক্ষত
নিশ্চুপ লোনাধরা দেওয়ালে,
এখনো আমার কষ্টের দাগ আছে ।


প্রভাত পেরিয়ে দুপুর গড়ায়,
বিকেলও যায় যায়, সন্ধ্যা আসে;
অবশেষে দেখা পাই প্রতীক্ষিত রাতের,
দেখি গোর অন্ধকার, এখানে-ওখানে,
চারিদিক আঁধার নীরব নিস্তব্ধ ঘাতক যেন ।


শীতল বাতাসে এখন আর কারো চুল,
দৃষ্টি গোচর হয় না, সব অদৃশ্য ধূসর ।


মৃত এক গোলাপ হয়ে এ যান্ত্রিক কোলাহলে;
ঘ্রানহীন পড়ে আছি, কি অসহ্য এ পৃথিবীতে ।


ভালবাসার পূর্ণতা পাইনি খুঁজেছি ঢের,
তাই ভালবাসা পূর্ণ হয়নি, হতে চায়নি ।
পূর্ণতা ঋণী হয়ে থাক শূন্যতার কাছে ।


কল্পনার জগতে ভেসে বেড়ানোর সীমা আছে,
আছে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন,
সেই নিয়ম কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে,
কল্প জগতে বসত গড়েছি বছর কয়েক হলো,
মশগুল ছিলাম কল্প প্রণয়ে অন্ধ ।


খোদার খেলা এ কোন লীলা বুঝলাম অবশেষে,
হৃদয় লুন্ঠন করেছে যে অপ্সরী,
সে কেবলি কল্পনা, কেবলি চোখের জল ।


সন্তর্পণে সজ্জিত ব্যাথায় হৃদয় ক্ষত,
কি দারুন র্নিমম স্থায়ী বসত তাদের ।


স্পর্শ কাতর নীল কষ্টের স্নিগ্ধতা,
অনুভূতির স্ফীতিতে ক্ষত-বিক্ষত যন্ত্রনায় ব্যাথিত ।


জীবনের কি র্নিমম পরিহাসে দুঃখের প্লাবন,
প্রতিবিম্বিত হাহাকারে নিস্তব্ধ নিরব প্রণয় ।
সে প্রণয় নম্র আজ জীবনের কাছে,
নন্দিত জীবনে উপভোগ্য কিছুই খুঁজিনি,
খুঁজেছি কেবল দুর্জয় তোমায়,
আবদ্ধ ভালবাসায় ।