এই শহরে জীবনের হিসেব মিলাতে চাইনা,
সময়ের কাছে ঋণী হয়ে দেবতা হতে চাই,
চাই বিসর্জন দিতে যত সব স্বপ্ন স্মৃতিকে,
নির্বাসনে পাঠাতে চাই সুখ পাখিটিকে,
দীপ্তিশালী এসব চাওয়া পাওয়া,
অপূর্ণতায় থাকলো অক্ষত চিরকাল ।
তাই আর পূর্ণ হতে চাইনা,
ইচ্ছের হিসেব নিকেশ ছেড়ে দিলাম,
অভাগা মুখথুবড়ে পড়া নোংরা নিয়তির কাছে ।
হৃদয়ের অন্তরালে কষ্টের মহাউত্‍সব;
মধ্যরাত্রিতে বড়ই হিংস্র হয়ে উঠে ।
নিজের সামনে দাড়াতে ভয় হয় এখন,
যদি কষ্টের লেলিহান শিখায় দেহ পুড়ে ।
নিজের সক্রিয়তার সাথে শত্রুতা আছে,
সাপ্তাহ মাস ফেরিয়ে বত্‍সর হলো;
তাই ভোরের স্নিগ্ধ কুয়াশায় এখন,
সমুদ্ভাসিত স্বপ্নের চেহারা কেবলি ধূসর নিষ্প্রান।
কল্পনার রাজ্যতন্ত্রে সুবিশাল বান দিয়েছি,
পড়ন্ত বিকেলে তবুও হার মানতে হয়,
অবাধ্য কল্পলোকের হিংস্র শোষকের কাছে ।
আকাশ দেখেছি ঢের, ছুঁয়েছি তার নীল;
আকাশ তৃপ্তি পেয়েছে, আমি পাইনি ।
জল তরঙ্গে মহা অতল সমুদ্রতলে,
স্বপ্নরানীর দেখা পেয়েছি, ছুঁয়ে দেখেছি,
প্রাণ করেছি তার সুধা;
স্বপ্নরানী তৃপ্তি পেয়েছে, আমি পাইনি।
প্রজ্বলিত দাবানলে ইচ্ছেদের নিক্ষেপ করেছি,
আবার প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ইচ্ছেগুলো,
ফিরে আসে আপন ঠিকানায়,অপূর্ণতার স্পর্শে।
সবই চলে যায়, বারবার ফিরে ফিরে আসে,
এ জগত্‍ সংসারে বিশুদ্ধতাও হারিয়ে যায়,
বিষন্ন প্রণয়ে জীবনের কাছে নম্র হয়ে;
সেও ফিরে আসে শুদ্ধতাকে জয় করে ।
স্বপ্নদের অপমৃত্যু হয় বৈরী মধ্যরাতে,
পরিপূর্ণ হয়ে কল্পনার মিশ্রিত জগতে;
আবারো সম্বোধন গটে সেই স্বপ্নের,
হয়তো আমিও ফিরে আসবো,
প্রদীপ্ত হতাশার আচড়ে বন্দি হয়ে;
কোন এক অগোছালো বৈরী বরষায় ।