এক যে ছিল প্রেম আমার, নামে মেঘবতী,
রুপে গুনে যেমন ছিলো, তেমনি ছিলো সতী ।
ব্যাবসায়ীর মেয়ে সে দক্ষিনে আবাস,
ভালবাসার সাক্ষি ছিল ভোরের ধুরভা ঘাস ।
জানতো না সে কোন কিছুই, তাতে কি যায় আসে,
নীরবে থেকে চিরকাল যাব, তারে ভালবেসে ।


অনেক দিন পাশে থেকে বুঝলো অবশেষে,
ভালবাসি বললো আমায়, মুচকি মুচকি হেঁসে ।
তখন যেন আসমানের চাঁদ মাটিতে নামিলো,
মেঘবতী অবশেষে এই অভাগার হলো ।


মাঝে মাঝে আমার খুব, মাথা ব্যাথা পেলে,
দুষ্টোমিতে বলতো সে, বাড়ি দাও দেয়ালে ।
বলতে বলতে কথা রাতে, ঘুমিয়ে সে যেতো,
ঘুমকে দিয়ে গালি পরে, ঠিকিই লজ্জা পেতো ।
আমায় রেখে একা একা তখন সে ঘুমাতো,
ভাবতাম আমি, হায় আল্লাহ, বিপদ হলো নাতো?
সকালবেলায় তারাতারি বলতো আমায় সরি,সরি,
আর কোন দিন হবেনা এমন এবার কানে ধরি ।
তার এমন অস্থিরতা দেখে কিযে করি,
মুখ পুলিয়ে রাগ করে থাকতে কি আর পারি?
সত্যি তখন সব ক্লান্তি দূর হয়ে যেতো,
তাই বারেবারে চাইতাম এমন যদি হতো ।


তারপরে মেঘবতী জীবন দিলো ভরে,
বাকি কাহিনী জানতে পারবেন, কয়েক দিন পরে ।
(মেঘবতী ২ এ )