হাপ হাতার টি সার্টে বুক পকেট ছিলোনা
মাঝখানের একটি বুতামও নির্বাসনে,
শুকিয়ে যাওয়া রক্তের দাঁগ ছিলো ।
টেনে হিঁছড়ে নিয়ে যায় আমি সহ,
নতুন আরো নয় জন কবিকে ।
সুবীর দা ছিলো পিছনের সারিতে,
মুখ ভরতি গোঁফ ছিলো
অগোছালো মাথার চুল
আগের রাতে নিশ্চয় ঘুমোও হয়নি
তাই চোখও ছিলো রক্তমাখা ।
আমি ছিলাম প্রথম সারির তিন নম্বর লাইনে
আমার সামনে আরো দুজন কবি
ধূসর আলোতে ঠিক চেনা যায় না,
তবে চোখে মুখে মুক্তির নেশায়
বেসামাল ছিলো সকল কবির মনন ।
কি অপরাধ এই কবিদের?
তারা মুক্তি খুঁজেছিলো
কিসের মুক্তি জানা নেই ।
তবে কি কবিতার বিস্তৃত জমিনে
চাষ করেছিলো অন্যায়ের বিরুদ্ধে
নাকি তৈরি করে ছিলো শোষকের সামনে
বেশ বড় ষড় কোন শক্ত দেওয়াল ।
দেওয়ালের ওপারে নিশ্চয় ছদ্মবেশি কবি ছিলো
শোষকের আপন কেউ হয়েছিলো
অতপর তোষামদে ধরিয়ে দিলো নয় জন কবিকে ।
প্রতিবাদী কন্ঠের গর্জন এক এক করে
ভেঙে পেলে সকল হাতকড়া
কাগজ নেই, নেই কালিও,
কন্ঠতো আছে,
নয়জন কবির নয়টি লাইনের গর্জন
যেন গিলে খাবে যত বাঁধা ।


(অনুভূতি অসম্পুর্ন, তাই কবিতাও অসম্পুর্ন, আবার যদি এমন অনুভূতি আসে সম্পুর্ন করে নিবো)