একটি কবিতা ছিলো, পড়ার মত পাঠক ছিলোনা ।


যে কবিতায় ছিলো পুরোনো শকুনের বিষাক্ত থাবার কথা
লাক্ষ শহিদের রক্তের ঋণ শোধ হবার আগেই
স্বাধিনতা কে চুষে খাওয়ার চক্রান্ত
মুক্তির নেশায় উঠতি যে যুবক
স্বাধিনতার গল্প শুনতে ছেয়েছিলো
শকুনের চুরিকাঘাতে কাঁটা হাতের রগ
তার কথা ।


স্বজাতীর গুলিবিদ্ধ দেহে রক্তের দাঁগ শুকায়নি,
দর্ষিতার কাতর চিত্‍কার যেন পিকেটারের হাতে
রক্ত মাখা চোখে কিশোরীর করুণ আহাজারি ।


কষ্টে গড়া অটোরিক্সাটি কিনেছিলো হামিদ মিয়া
ড়াল ভাত ছেড়ে মুরগি খাওয়ার আগেই
রাস্তায় জ্বলছি তার শ্রম
সে নির্বাক চেয়েছিলো পাথর হয়ে ;
সে কবিতায় ছিলো তার কথা ।


ছিলো কিভাবে শকুনেরা মুখোশ পালটায়
কিভাবে সাদা পাঞ্জাবিতে রক্তের দাঁগ মুছে
আতরের গন্ধ বেরোয় তার গল্প ।


এখন তান্ডব চলছে শকুনের, দেখছে মানুষ
তোরা কি মানুষ?
তোদের মাথায় কাক হাগে
কাক তাড়াতে ভয় লাগে তাই
খবরের কাগজ উলটাস ।