বহুদিন ধরে,বহু পথ বেয়ে
চলেছি হেঁটে ,
কিছু একটা পেতে , কিছুর একটা নেশায়
অথবা হয়ত অদৃশ্য কিছুর একটা টানে |


সময় দাঁড়িয়ে থাকে অদৃশ্য এক সাক্ষী হয়ে
আমরা বদলাতে থাকি জীবনের বহুরূপী সাজে |
ভুলের ফাঁদে দিয়ে পা কাটিয়ে দিলাম অনেকবছর
সময় কখনো থাকে না থেমে ,
সে যেন নাকি এক প্রবাহিত নদীর মতো
      কি ভুল ! কি ভুল !


দেখেছ কি এটা ভেবে ,
পাড় বদলানো আমাদের স্বভাবে !
আর সে নাকি বয়ে চলে আপন গতিপথে
দেখেছ কি বদলটা তাহলে !


পাগল করা সেই শিশুটা
এই তো সেদিন আঙ্গুল ধরে শিখল চলা,
কাটিয়ে দিল শৈশবটাই
শুধুমাত্র খেলনা পাওয়ার হাতছানিতে |


ইচ্ছেগুলো  বদলে গেল
কৈশোরের ওই নরম মনে
যখন সে কাঁদতে গেল
মুখ লুকিয়ে সবার থেকে
আর হারানো তার প্রথম প্রেমে !


যৌবনের ওই আগমনে
আবেগগুলো যেন সব ঠুনকো ঠেকে
আর দুনিয়াটাকে দেখতে পেল  
নতুন একটা মন নিয়ে |


এগিয়ে চলার শেষ থাকে না
জীবনযুদ্ধও থামতে চায় না |
একদিন সে স্পর্শ পেল ,
কিছু নরম আঙ্গুল যেন তার ভরসা পেল ,
ক্ষনিকে সে ফিরে গেল
শৈশবের সেই দিন গুলোতে
যখন,গোধুলির ওই আবছা রঙে
বিকেলগুলো উঠলো জ্বলে !
শিশু এখন অন্য পারে ,
পিতৃত্ব যে তার চোখে-মনে !
হঠাৎ দেখি দৃষ্টিটা কেমন যেন আবছা হলো ,
শরীর যেন বলে দিল
এবারের মতো অনেক হলো ,
তাকিয়ে দেখি আয়নাতে,
ও তাহলে জীবনসায়ান্হ এসে গেল !


কিন্তু আজ ও দেখি সূর্য-টা
পূর্ব দিকেই উঠে থাকে ,
গোধুলি তার রঙিন আভা
পশ্চিমেই মেলে ধরে |
আজ-ও দেখি বৃষ্টিভেজা তপ্ত মাটি
সেই একই সুবাস দিয়ে থাকে
আর ঘাসের উপর শিশিরবিন্দু
আলো পেলেই ঝলসে ওঠে |


যাবার  বেলায় টের পেলাম
সবকিছু যেন একই আছে
আমরা শুধু খেলে গেলাম
সাজানো  এক  উঠোনে
একটা কিছু হারিয়ে গেলে
অন্যটাকে পাবার টানে !


এবারের মতো অনেক হলো
তবে আমি আসি
হয়তো আবার দেখা হবে
হয়ে তোমার সাথী !