অস্তিত্ব থাকার দরকার কী?
অপেক্ষা যখন কেবল মৃত্যু।


কেন জাগতিক ক্রিয়া
কিংবা
প্রতিক্রিয়া?


যে কাজটি আপনি করছেন,
আপনি না থাকলে অন্য কেউ করতো,
অথবা হয়ত কেউই করতো না।
কিন্তু সময় থেমে থাকত না।
একসময় কাজটি নিষ্প্রয়োজন হয়ে যেত।


যা ইচ্ছা করি যা ইচ্ছা লিখি
যতই খোঁজার চেষ্টা করি,
কিংবা না করি
দিন শেষে কী হবে,
কী হয় তাতো জানাই।
অযথা কিংবা যথাযথভাবেই যা করি
তা না করলেও কিছু এসে যায় না,
হয়ত কিছুতেই কিছু এসে যায় না।


তবুও আমরা করি,
করতে হয়,
আগেও করা হয়েছে
এখনো হচ্ছে,
ভবিষ্যতেও হবে।
আমরা বললেও হবে,
না বললেও হবে।
অপেক্ষা শুধু মৃত্যুর।
জেনেও শুধু অপেক্ষা,
না জানার ভণিতা তবু অপেক্ষা।
এটার পরে ওটা, তারপরে সেটা
আর তার পরে তা।
তা এর যেন শেষ নেই।


প্রতীক্ষা আর অপেক্ষা,
জেনে অপেক্ষা,
অস্তিত্বহীনতার অপেক্ষা।
চির শূন্য, চির আঁধারের অপেক্ষা।
পরিত্রাণ অসম্ভব জেনেও অপেক্ষা।
কী বা করার আছে তাঁদের কিংবা মোদের।
অন্তিম অপেক্ষা।
অসীম অপেক্ষা।
ভালো লাগার অপেক্ষা,
ভালো না লাগার অপেক্ষা।
হারিয়ে যাবার আক্ষেপ।
কিছুই করার নেই জেনে আক্ষেপ,
কিংবা আর কোনো আক্ষেপ নেই জেনে আক্ষেপ।
মনে রাখার আক্ষেপ,
মনে থাকার আক্ষেপ,
অস্তিত্বের আক্ষেপ,
অস্তিত্বহীনতার আক্ষেপ।
আক্ষেপ নিয়ে মৃত্যু,
কিংবা আক্ষেপ ছাড়া মৃত্যু।
কিন্তু মৃত্যু,
দিনশেষে অস্তিত্ব-বিদীর্ণকারী মৃত্যু।।