ওই অদূরে নদীর বাঁকে
বাঁধা আছে এক জীর্ণ না,
শরীরটা তার দুর্বল অতি
আছে সহ্যতা যদিও বা!
দু'মাথা তার গেছে ভাঙি
হয়েছে বিবর্ণ আপন কায়া,
তবুও মাঝিকে দান করে যায়
আপন উদার শান্ত হিয়া!
ঢেউয়ের তালে ছলাক ছলাক
নৃত্যে নদে ওই তরণী,
তার উদারতায় মুখরিত আজ
সুবিস্তৃত এই শ্যামল ধরণী!
হয়েছে শীর্ণ আপন তনু
তবুও,কর্তব্য তার ভারি,
মাঝির আহার জোগাতেই হবে--
তিনবার ভাত আর তরকারি!
জীর্ণ নায়ে শীর্ণ মাঝি
দুর্বল করে টানিছে দাঁড়,
নায়ের অবস্থা খারাপ ভারি
মাঝিরও দেখা যায় যে হাড়!
আপন কায়া শেষ হতেছে
সেই দিকেতে নাই তো খেয়াল,
ভাড়া খাটতে হবেই তাকে
বইবে ধান,খড়,পাট বা চাল!
এই বসুধায় মাঝির 'পরে
কর্তব্য যে তার ভারি,
তার তো কোনো নেই উপায় আর--
ওই একটি মাত্র শীর্ণ তরী!
এই ধরাতে সবার যদি
থাকত এমন কর্তব্যবোধ
নির্মিত হত একতার অচল
কে করিত এ ক্রিয়াকে রোধ!
-:::-:::-:::-:::-সমাপ্ত-:::-:::-:::-:::-
29শে আশ্বিন,1411