ভরদুপুরে রোদ পড়েছে
       নড়ে না গাছের একটিও পাতা,
গাছগুলি সব দাঁড়িয়ে আছে
       মনে হয় দাঁড়িয়ে হাজার ছাতা!

শুয়ে আছি ঘাম ঝরিছে
       একটি ছোটো কুঁড়ে মাটির ঘরে,
বালিশখানি টানিয়া লয়ে
       বাম পাশে একটু এলাম গো সরে!

বিছানায় শুয়ে হতেছে চ্যান
       মাদুর বুঝিছে সিক্ত ঘামের স্বাদ,
জীবন করে আইঢাই মোর
       শরীর হতে জীবন হতে চায় বাদ!

হাতপাখাটি বাম হাতে লয়ে
        ছুটলাম কাছের শিরিষগাছের তলে,
গাছের পাতা ঘুমায় যেন হায়
        একটিও যদি ওই কথা গো বলে!

হঠাৎ করি সেই সময়ে
      সহসা চোখে উঠল মোর ভাসি,
কৃষ্ণচূড়ার মগডালেতে
      কেউ যেন গো ওই বাজায় বাঁশি!

উত্তুরেতে দিলাম ত্বরা ছুট
     কৃষ্ণচূড়ার ওই কায়ার দিকে,
মনে ভাবি আসছে বুঝি সুর
     কোত্থাও নয় ঠিক সেখান থেকে!

তারপরেতে ফিরব বাড়ি
       মেঘ ডাকে অনর্গল চড়চড়,
ঘুর্ণিবায় বইতে বইতে
      নামল হঠাৎ এক বিরাট ঝড়!

ভরদুপুরে ঘুমিয়েছিল সব--
      নিদ্রালু আকাশ-বাতাস-বৃক্ষরাজি,
নিদ্রা ভেঙে উঠল মেতে
      নতুন করে সবাই গো উঠল সাজি!

মোটেও বায়ু ছিল না ধরায়
      এখন বল গো কত আর নেবে,
নিতে নিতে শেষে হয় তো
      আপন জীবনটাই হায় দিতে হবে!

-------------যবনিকা-------------