"মৃত‍্যু পথের যাত্রী যাহারা
মরণে না করি ভয়;
ব্রিটিশের সাথে যুদ্ধ করিয়া
রাখিল  শ‍ৌর্যের পরিচয়।"
যখন বাঘা যতীন
প্রথম সচিব হলো
গভর্নর হাউসে ;
বাংলা জ্বলছিল
বিদ্রোহের আগুনে
দাউ দাউ করে।
কেউ জানল না
কেউ বুঝল না
এ আগুন এলো কোথা হতে।
হানা দিয়ে অস্ত্র কারখানায়
জানা গেল যতীনের পরিচয়।
নজরদারি বেড়ে গেল
গভর্ণরের চারপাশে,
তবুও দমন হলো না কিছুই
বিদ্রোহীরা অস্ত্র ধরে;
গভর্নর তখন ম‍্যাজিষ্ট্রেট
শামসের আলীকে দিল অপার শক্তি
বিনা বিচারে ধরতে সন্দিগ্ধকে।
অত‍্যাচারের পরে অত‍্যাচার
নির্দোষ জানে না
এ কেমন বিচার।
তখন যতীনের নির্দেশে
আঠারো বছরের বিদ্রোহী বালক
শামসের আলীকে হত্যা করল সিঁড়িতে।
ব্রিটিশরাজ হিলে গেল
লণ্ডনে বৈঠক বসল
গভর্নর হিংস্র হয়ে উঠল;
যতীনকে ওরা ছ'বছরের
কারাদণ্ড দিল।
অনেক লোভও দেখাল
কিন্তু হৃদয়ে যার স্বদেশ প্রেম
সে পাহাড়ের মতো অটল রইল।