"আমরা বিদ্রোহী ইংরেজ শাসনের
বিপ্লব আনি বিরুদ্ধে অত‍্যাচারের;
দেশমাতা কারারুদ্ধ
আমরা টুটিব কারার দ্বার
বন্ধন করিব মুক্ত।"
সেদিন ছিল গভীর রজনী
তিমির মসীলিপ্ত;
যতীন চলেছে আপন লক্ষ্যে
ঠিকানা ছিল যে গুপ্ত।
ছাড়া পেয়ে যতীন গিয়েছিল যশোরে
ঠিকাদারি করছিল ;
ইংরেজ শাসক নিশ্চিন্ত হল
বিদ্রোহ বুঝি ছেড়ে দিল।
তখন সুরেশ এক ইন্সপেক্টর
বিপ্লবীদের অযথা ধরপাকড় করছিল
তাই গভীর রাতে বিপ্লবীরা
এক সভা করল;
যতীন গেল সেই সভায়
সুরেশ-হত‍্যার নির্দেশ দিল।
সম্মুখযুদ্ধে সুরেশ মৃত্যুর কবলে পড়ল।
কিন্তু পকেটে এক চিরকুটে
যতীনের নাম লিখে রেখেছিল ;
ইংরেজ যতীনকে ধরবার জন্য
পুরস্কার ঘোষণা করল।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হল
ইংরেজরা জার্মানদের সঙ্গে
যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল;
যতীন জার্মানদের সঙ্গে
সংযোগ করল।