"জীবনের শেষে আসবে মরণ
একথা সবাই জানে;
সেই ভয় যখন মুক্ত হয়
জয় হয় জীবনে।
দেশমাতা যখন রোদন করে
শৃঙ্খলের বোঝা ভারি হয়  ;
যুগে যুগে মহাবীর আসে
সে বোঝা লুপ্ত করার চেষ্টা হয়।"
এন্ট্রান্স পাস করে যতীন
স্টেনোগ্রাফি শিখল;
কলেজে না গিয়ে সে ত
চাকরি ভালো পেয়ে গেল।
শিলিগুড়ি শ্টেশনে এক বৃদ্ধা
মায়ের শরীর খারাপ হল
তার ছেলে তাড়াতাড়ি
জল আনতে গেল ;
আনতে গিয়ে এক ইংরেজ
সেনার সঙ্গে ধাক্কা লেগে গেল।
রেগে আগুন ইংরেজ তাকে
বেয়নেট দিয়ে মারল;
খুব মেরে খুশী হয়ে যেতে গিয়ে
এক ভারতীয় তার ঘাড় চেপে ধরল;
সঙ্গে সঙ্গে আরও তিন ইংরেজ
বেয়নেট নিয়ে জুটল;
চার ইংরেজ এক ভারতীয়
লড়াই খুব হল
মার খেয়ে পালিয়ে গিয়ে
ইংরেজ আদালতে গেল।
জানো কি তোমরা
এই ভারতীয় কে ছিল
সে যে বীরের মুকুট পরা
বাঘা যতীন ছিল।