"তোল রুদ্রবীণা আজি
দেশের তরে;
বিদেশী শাসকদের
দূর করতে হবে।
শপথ কর সবে
মায়ের পদধূলি নিয়ে
রণ ছাড়ব না মোরা
কভু মৃত্যু ভয়ে।"
তখন বাঙালিরা পেত না
চাকরি সৈন‍্যবিভাগে;
শাসকদল করত হেয়
বাঙালিদের ভীরু বলে।
কিশোর রাসবিহারী
শুনে ক্ষুব্ধ হল;
নাম বদল করে
সেনাতে ভর্তি হতে গেল।
ধরা পড়ে গেল
তাই ভর্তি হলো না ;
ইংরেজ বিদ্বেষ কিছু
কম হলো না।
কালি বসু ছিল ঠাকুর্দা
ছিল বিখ্যাত লাঠিয়াল
শেখাত দেহচর্চা।
ছোট রাসবিহারী ইংরেজদের
মূর্তি গড়ত;
আর লাঠির আঘাতে
সেগুলো ভাঙত।
বড়ো হয়ে গোপনে বিপ্লবী হল
আর বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে
অংশ নিল।
ঊনিশ শ আট সালে
আলিপুর বোমা মামলায় নাম জড়াল;
ছাড়া পেয়ে দেরাদুনে
সরকারি কাজে যোগ দিল
কিন্তু ওর ধ‍্যানেজ্ঞানে দেশভক্তি ছিল
গোপনে বিপ্লবীদল তৈরী করল।