সেদিনের সেই পূর্ণিমা রাতে
যখন চাঁদের আলোয় চারিদিক
উজ্জ্বল হয়ে উঠল;
তখন সাঁওতাল পল্লীতে মাতোয়ারা
সবে মাদলের শব্দে জমল।
ঝুমুরের তালে সাঁওতাল রমণী
সুরে সুরে নাচল গাইল
স্বর্গের আনন্দ যেন
ভূতলে নেমে এল।
তারপর রাত গভীর হল
ক্লান্ত সবে ঘুমিয়ে পড়ল;
যখন রাতের কালো পর্দা
সরিয়ে আকাশ নীল হল
এমন সময় অস্ত্র নিয়ে
ইংরাজ সেনারা এল।
পল্লীর বাঁ পাশে ছিল এক পোড়ো বাড়ি
সেথায় ছিল না কেউ ;
ইংরাজ সেনা ঘিরল সে বাড়ি
যেন বাঘের পিছনে ফেউ।
সেখানে ছিল বিপ্লবীদের আস্তানা
ছিল না সেথায় কারও আনাগোনা
কেউ জানত না ওরা কারা
নিশ্চিন্তে চলত বিপ্লববাদের কারখানা।
জানা নেই কি করে ইংরেজ পেল খবর
ফৌজ দিয়ে ভাবে দেবে সবে কবর।
তাই যুদ্ধ হলো শুরু
গুলির শব্দে প্রাণ করে দুরু দুরু।
হঠাৎ সাঁওতাল সেনা
তীর ধনু লয়ে করল আক্রমণ
আচমকা আঘাতে ভয় পেয়ে
ইংরাজ সেনা করল পলায়ন।