কে তুমি বালা বড়ই নিরালা অতীব রূপবতী;
বসি আনমনে কার আগমনের
প্রতীক্ষায় ছিলে তাই ভাবি।
হাওয়ার টানে শোলার টুপি
মোর মাথা হতে পড়ে যায় ;
উঠায়ে দেখি আশ্চর্য চকিত
সে নাই দূরে চলে যায়।
নিশুতি রাত স্বপ্নের দেশে আমি বিছানায়
হঠাৎ তখন বাজল নুপুর
সুবাস ছেয়ে যায়।
চমকে উঠি গানের সুরে
গগন ভরিয়া ওঠে ;
বাহির হইনু দেখিবারে তায়
কন্যা হাসে উল্লাসে।
কেহ কোথাও নাই তবু
মন বলে আছে
বিফল মনোরথ তাই
যাই ফিরে স্বপ্নের দেশে।
তখনই আবার ফুলের গন্ধে
ঘর ভরে গেল ;
মৃদু কিঙ্কিনী নুপুরের ধ্বনি
কে যেন পাশে এলো।
দেখলাম সেই সুন্দরী নারী
হাতছানি দিয়ে ডাকে ;
তখনই চললাম তার পিছু
বিছানা পড়ে থাকে।
জাগিয়ে দেখি নাই কেহ নাই
সুন্দরী দিয়েছে ফাঁকি;
চলিলাম আমি অফিসের কাজে
সকলই রয়েছে বাকী।
একদিন এলো ফুলের সুবাস
আমার আঙিনায়
দেখি হাসে কন‍্যা চোখে চোখে
কথা কয়।
হঠাৎ শুনি শত পদধ্বনি
সেনারা ওপরে আসে
আমাকে তারা দেখেও দেখে না
কন্যারে চেপে ধরে।
বড়বাবু বলে ওটা হানাবাড়ি
রাজবাড়ী ছিল কোনোকালে ;
রাজা করে বধ সেনাপতিরে
নর্তকি কারাগারে।
লোকে বলে হোথায় নৃত্য গীতের
ঝঙ্কার শোনা যায় ;
কখনও আবার হাহাকার ওঠে
রোদনের শব্দ শোনা যায়।