দিন চলে যায় রাত এসে যায়
রাত বলে "ওগো ও কেন সবটুকু
আলো নিয়ে যায়।"
আঁধার আলোয় চাঁদ হেসে বলে
"জ্যোৎস্নার জ্যোতির তুলনা কোথায়।"
দূরে শ্মশান ঘাটে এক যোগী বসেছিল যোগাসনে,
শ্রীকৃষ্ণকে পাবার আশায় মনে মনে
এমন সময় হাজার প্রজাপতি উড়ে এল
আকাশ ভেদ করে কিসের আশায়,
কৃষ্ণ না গো না ওতো প্রজাপতি নয়
ওতো অধুনা যুদ্ধাস্ত্র ওদের পেটে থাকে অগ্নি বলয়।
যুদ্ধ চলতেই থাকল
অস্ত্রের আনাগোনা হতেই থাকল
পৃথিবীর বুকে অনেক আঘাত হানল
তার হাহাকার ঊর্ধমুখী হয়ে গগন ভেদ ‌করল।
দিব্যচক্ষে যোগী ভবিষ্যৎ দেখল:-
পৃথিবীর সব উর্জা শেষ হয়ে গেছে
কোথাও আলো নাই
পৃথিবী বোনা হয়ে গেছে
মরণ এসে জীবজগত ভস্মীভূত হয়েছে।
কাঁদতে লাগল যোগী নাই কিছু নাই
ভালোবাসার জন পাব বলে যজ্ঞ করি তাও নাই।
আগে পৃথিবী শস্য শ্যামলা উর্বরা ছিল
এখন ত কিছু নাই।
নিউক্লিয়ার বোম পড়েছে
পৃথিবী মা রক্তাক্ত হয়েছে।
তার অদৃশ্য কান্না কেউ শোনেনি
মায়ের দু্ঃখ কেউ বোঝেনি
সবাই অহংকারে মত্ত থেকেছে
মরণ চুপিসারে ছদ্মবেশে এসেছে্
তাই কাঁদছে যোগী কাঁদছে দেবতা
এই মারণ যজ্ঞের মনুষ্য ই হোতা।