"নাই ওরে  সে ত নাই
কোথায় গেলে তারে পাই";
রোদনের ভারে কুব্জ পিতা
বলে.'কোথাও কবিতা নাই"।
"কোথায় গেলি আমার দুলালী
সাড়া কেন পাই না;
সে যে আমার জীবন ছিল
আমার পরাণ কেন যায় না "।
স্বজন সবে বিলাপ করে
পুলিশ মরে খুঁজে খুঁজে
কোথাও সে নাই কোন হদিশ নাই
পিতা কাঁদে হতাশা ভরে।
মাস ছয় পরে শুভ এল ঘরে
কবিতা যে কোথাও নাই ;
পিতার রোদন বৃথা গেল
পুলিশ কোন খেই পায় নাই।
দুঃখে শোকে পাগল শুভ
কেঁদে কেঁদে সারা হল;
এইমত কিছু দিন গেল
কোনই না সুরাগ পেল।
রাতের পরে রাত আসে
দুখের বারতা লয়ে ;
দিবস হলে কাজে মাতে শুভ
নিদারুণ বেদনাতে।
হঠাৎ থাকে।  গভীর রাতে
নুপুরধ্বনি শোনা গেল ;
তাড়াতাড়ি উঠল শুভ
ঘরের বাতি জ্বালাল।
দূর হতে মেয়েলী কান্নার
রোল কেন ভেসে আসে ;
অবাক হয়ে ভয়ার্ত শুভ
সারা রাত জেগে থাকে।