অনেকদিন নিজেকে দেখা হয় না,
চারপাশটা দেখতে দেখতে কখন যেন নিজেকে দেখতেই ভুলে গেছি।
আজ অনেকদিন পর নিজেকে দেখতে গিয়ে খুঁজে পেলাম অসংখ্য দাগ।
সারা শরীর জুড়ে দাগ, দাগ আর দাগ!
কোনটা সময়ের সাথে মুছে যাওয়া ঘায়ের দাগ, আবার কোনটা সবেমাত্র আঘাত পাওয়া ক্ষতের দাগ।
ক্ষমতার সামনে হেরে যাওয়া শোষণের দাগ।
প্রিয়জনদের হারানোর অসহায়তার দাগ।
পুঁতে ফেলা স্বপ্নের কান্নার দাগ।
একরাশ হতাশার আস্ফালনের দাগ।
বিশ্বাস করে পাওয়া আঘাতের দাগ।
হয়ত এর মধ্যেই খুঁজে পাবে তোমার দেওয়া কোন এক দাগ।
সময়ের আঘাত কারো কোমল মনকে পাথর করে দেয়,
আবার কোন পাষাণ মনকে করে দেয় কোমল।
তবে বাগানে থাকা সব গাছ বৃক্ষ বা গুল্ম হয় না।
তরুলতাকে যতই ছেঁটে ফেলা হোক না কেনো, বেঁচে থাকার জন্য একটা অবলম্বন খোঁজা তার ধর্ম।
মৃত্যুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত সে সেটাই করে যাবে।
ভাবলে ভীষণ অবাক লাগে, কি অদ্ভুত এই তরুলতার জীবন।
ছেঁটে ফেলা শাখার অসংখ্য দাগের মধ্যে দিয়ে, নতুন করে বাঁচার জন্য জন্ম নেওয়া লতাটাও অবলম্বন খোঁজার জন্য এগিয়ে যায়‌ নিজের অজান্তে।
হয়ত আবার আরেকটা দাগ, আরেকটু বিশ্বাস ভাঙার যন্ত্রণা।