কাল একদল পিঁপড়ে এসেছিল,
চিনির ঠোঙার নিচে জমা হয়েছিলো ওরা।
হটাৎ নেমে আসা বর্ষায়, ঘর হারা পিঁপড়ের দল আশ্রয় নিচ্ছিল ঠোঙার নিচে।
খুব ভালো করে দেখলাম, বার বার দেখলাম,
না চিনি তে একটি পিঁপড়েও নেই।
ওরা এখন আর চিনি খায় না।
কি খায়, সেটা জানা নেই।
ছোট বেলাতে চিনিতে অনেক পিঁপড়ে দেখেছি, এখন আর দেখা যায়না।
বড়দের বলতে শুনেছি পিঁপড়ে খেলে ভাল সাঁতার শেখা যায়।
পিঁপড়ে না খওয়া মানুষ সাঁতরে পার করেছে সাগর।
বিষ মাখা চিনি পিঁপড়ে আর খায় না, তবে মানুষ খায়।
ঘরের ঘুলঘুলিতে এখন আর চড়ুই পাখি বাসা করে না।
মানুষের উন্নয়ন চড়ুইকে স্থান করে দিয়েছে, ইতিহাসের পাতায়।
শুধু পিঁপড়ে-চড়ুই নয়, আমাদের চারপাশ থেকে একটা একটা করে নাম কাটা পরছে।
আর ভরে উঠছে লুপ্তপ্রায় প্রাণীদের নামের তালিকা।
সবুজ মাঠের ফসলে দেওয়া বিষ নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে অগণিত পতঙ্গের প্রজাতিকে।
জলের মধ্যে থাকা বিষ কেড়ে নিয়েছে কতশত মাছ, কচ্ছপ, কুমীরের বংশ।
গাছের ডালে থাকা হনুমান, ভাম থেকে টিয়া, ময়না, বুলবুলি অথবা বৌ কথাকও –
আজ একে একে সবাই স্থান করে নিয়েছে রঙিন বইয়ের পাতায়।