না, বইয়ের পাতাতে কোন স্থান নেই তোমার,
নেই কোন ছবি। তোমার আবিষ্কার আজ অন্য কারোর।
ক্ষমতার আগুন সেদিন শুধু আলেকজেন্ড্রিয়ার লাইব্রেরীকেই পুড়ায়নি,
সেই আগুনের লেলিহান শিখা, বিজ্ঞান কে নিয়ে গেছিল এক হাজার দু’শ বছর পিছিয়ে।
প্রথম মহিলা গণিতজ্ঞ হিসাবে, শাসক তোমাকে উপহার দিয়েছিল মৃত্যু দণ্ড।
না না! তুমি তো আর পাঁচটা মেয়ের মত সাধারণ নও,
তাই সহজ মৃত্যু দণ্ড তোমার জন্য নয়।
জনতার সামনে, প্রকাশ্যে উলঙ্গ করে, টানতে টানতে দেবতার ভাঙ্গা মন্দিরে,
পুড়ে যাওয়া বইয়ের সামনে, পাথর ছুঁড়ে যে মৃত্যু,
- সেটাই তোমার যোগ্য শাস্তি।
যাতে আর ধর্মের গোঁড়ামির বেড়া কেউ না ভাঙতে পারে।
তোমার লাসের কাটা অংশ গুলো সেদিন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল শহরের বাইরে।
তাতে নাকি পবিত্র হয়েছিল রোম সাম্রাজ্য।
না নারীর কোন অধিকার নেই, পুরুষকে শেখাবার,
এতো ধর্মের বাণী, তবে হোক না সে অন্য কারোর ধর্ম।
শাসকের ধর্মই ধর্ম, বাকিটা অধর্ম।
ধর্ম যাজকের উস্কানির আগুনে সেদিন শুধু হাইপেসিয়া মারা যায়নি,
মরেছিল গণিত, মরেছিল ভূগোল, মরেছিল দর্শন,
মরেছিল তোমার আবিষ্কার, বিজ্ঞানের যুগান্তকারী সুত্ররা।