নিদ্রা বিহীন রাতের তালিকাতে আজ আরেকটা সংখ্যা বৃদ্ধি।
সারারাত জেগে থাকার পর, ঠিক সকালের দিকে চোখ বুজে আসতেই একরাশ যন্ত্রনা বোঝাই একটা জাহাজ, এক্কেবারে স্বপ্নের সীমান্তে।
অবাস্তবের সেই দুনিয়ায় নিজেকে খুঁজে পেলাম মস্ত বড় একটা বাড়িতে।
জন সমুদ্রে আর কোলাহলের মধ্যে খুব তাড়াতাড়ি হারিয়ে ফেললাম নিজেকে।
অচেনা মুখ গুলোর মধ্যে পাগলের মত খুঁজে বেড়াতে সুরু করলাম, সাথে থাকা ব্যক্তিকে।
ঠিক তখনই একটা অচেনা লোক জানালো, আমাকে নাকি ছেরে চলে গেছে সে,
ফিরে গেছে নিজের আস্তানায়।
আমি বিশ্বাস করলাম না, খুঁজতে খুঁজতে তার বাড়ি গেলাম।
আলো আঁধারের সেই পথ হয়ত লুকিয়ে ছিল, মনের কোন গোপন কোনাতে।
তবে কেনো গেলাম জানি না?
হয়ত কিছু বলার জন্য! হয়ত স্বভাব বসত! নয়ত নিজের জনকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে, আশার অদম্য ইচ্ছেতে, অথবা যান্ত্রিক জীবন থেকে কিছুক্ষণের বিরতি নিতে, একমুঠো সুখময় মুহূর্তকে ধরে রাখতে।
গন্তব্যে পৌঁছে চোখে পড়ল বন্ধ কপাট, বাইরে দাঁড়িয়ে দরজা ধাক্কালাম বেশ কয়েকবার।
বেশ কতক অনুরোধও করলাম, একবার অন্তত দরজা খোলার জন্য।
কিন্তু কাজ হলো না।
দরজার কপাট আমার পথ ছাড়লো না।
দরজার ওপার থেকে ভেসে এলো আওয়াজ "চলে যাও"।
আশা গুলো ভাঙতে ভাঙতে আজ স্বপ্ন জুড়েও নিরাশার একছত্র রাজত্ব।
আশার জোয়ারে জীবনের দুকূল একাকার।
স্বপ্নের আয়নাতেও আজ বাস্তবের প্রতিবিম্ব।